উত্তর প্রদেশের বান্দায় একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় এক যুবক নিজের জেদ দেখিয়ে জোর করে সেখানে ঢুকে আসে। অতিথিদের ভিড়ের মাঝেই এক তরুণীকে ধরে জোর করে অশ্লীলতা শুরু করেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করায় ওই যুবক তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায় এবং মেয়েটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে এবং শ্লীলতাহানি শুরু করে।
মেয়েটির পরিবার তাকে বাঁচাতে এলে অভিযুক্ত মেয়েটির পরিবারকেও লাঞ্ছিত করে এবং মেয়েটিকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি গ্রামাঞ্চলের কোতয়ালীর একটি গ্রামের। ভুক্তভোগী তরুণী এসপির কাছে অভিযোগপত্র দিয়ে বলেন, গত ১৬ মে বাড়িতে ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল, আমরা সবাই বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে পূজা করছিলাম। সন্ধ্যায় গ্রামের এক যুবক জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে সকল অতিথিদের সামনে অশ্লীলতা শুরু করে। নির্যাতিতা প্রতিবাদ করলে সে তাকে টেনে বাইরে নিয়ে যায় এবং শ্লীলতাহানি শুরু করে।
ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না নিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতিতার স্বজনরা তাকে বাঁচাতে দৌড়াতে গেলে সে তাদেরও লাঞ্ছিত করে এবং তাকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে পালিয়ে যায়। এরপর ভুক্তভোগীর ভাই ১০০ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ১৫১ নম্বরে চালান দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয় এবং কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি, যার কারণে অভিযুক্ত এখনও ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে। অভিযুক্ত উচ্ছৃঙ্খল যুবকের কারণে তরুণীর পরিবার অতিষ্ঠ, পুলিশের কাছে বিচারের আবেদন জানালেও পুলিশ গাফিলতি দেখিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
ব্যবস্থা নেওয়া না হলে নির্যাতিতা মুখ্যমন্ত্রী যোগীর সঙ্গে কথা বলবে:
নির্যাতিতার পরিবার এসপির কাছে অভিযোগ করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ পত্রে আরও বলেছে যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাথে দেখা করবেন এবং ব্যবস্থার দাবি করবেন। বর্তমানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্ত করেছেন।