মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল সল্টলেকে। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা স্তুপাকৃত তারের জঞ্জালে বাইকের চাকা জড়িয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। বাংলা সংবাদ মাধ্যম এবিপি আনন্দ এ প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী রাস্তার পাশে প্রশাসনের জড়ো করে রাখা তারের জঞ্জালের বলি হলেন এক যুবক। দুর্ঘটনার ফলে মারাত্মক ভাবে আহত ওই বাইক আরোহীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তাররা।
সেই সময় রাস্তায় থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের জানিয়েছেন উল্টোডাঙার দিকে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক যুবক। সল্টলেকের বৈশাখী আইল্যান্ড পেরোনোর সময় রাস্তার পাশে পরে পড়ে থাকা প্যাঁচানো তারের স্তুপে তার বাইকের চাকা জড়িয়ে যায়। সাথে সাথেই বাইক থেকে ছিটকে পড়েন ওই বাইক আরোহী। সেই সময় পাশ দিয়ে যাওয়া একটি জলের গাড়ির তলায় চাপা পড়েন তিনি। যুবকটিকে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যেতে দেখে আপৎকালীন অবস্থায় ব্রেক কষেছিল জলের গাড়ির চালক। কিন্তু এত দ্রুত সব কিছু ঘটে যে ব্রেক কষার আগেই ওই যুবক জলের গাড়ির চাকার তলায় চলে যান। গাড়ির তলায় পিষ্ট যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রাস্তায় উপস্থিত মানুষেরা জানিয়েছেন, বাইকের থেকে ছিটকে পরে ওই যুবকের সারা শরীরে পেঁচিয়ে গিয়েছিল তার। এভাবে রাস্তার ধারে অবহেলাভরে জড়ো করে রাখা তারে বাইকের চাকা জড়িয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ওই বাইক আরোহী যুবকের। এই দুর্ঘটনার পড়ে স্বভাবতই ক্রুদ্ধ এবং আতঙ্কিত সল্টলেক অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান বহুদিন ধরেই সল্টলেকের বহু রাস্তার বেহাল দশা, প্রশাসন উদাসীন। যার জেরে দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণ হারাল বাইক আরোহী এই। আর কিভাবেই বা রাস্তার ধারে এমন বিপজ্জনক অবস্থায় তার জড়ো করে ফেলে রাখা যেতে পারে। অবশ্য এই ঘটনা শহরের বুকে এই প্রথমবার নয়, কয়েক বছর আগে পার্ক সার্কাসের চার নম্বর ব্রিজের কাছেও একই ধরনের রাস্তার ধারে পড়ে থাকা প্যাঁচানো কেবলের তার জড়িয়ে দুর্ঘটনায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছিল। এবারে আবারও একজনের প্রাণের দাম দিয়ে রাস্তার আসে পাশে ফেলে রাখা জঞ্জালে নিয়ে প্রশাসনের টনক নড়ে কিনা, সেটাই এখন দেখার।