বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনার বিমানবন্দর থানা এলাকার সিদ্ধার্থ কলোনির লভ-কুশ অ্যাপার্টমেন্টের ব্লক বি-এর 108 নম্বর ফ্ল্যাটে রমরমিয়ে চলে আসা সেক্স র্যাকেটের পর্দা ফাঁস হতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। গত দুই বছর ধরে এই ভাড়া করা ফ্ল্যাটে নানা অবৈধ যৌন কার্যকলাপ এবং সেক্স র্যাকেট চলছিল। বিহার শরীফের সাথে এর যোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের মতে, কোনো মানুষ টাকার জন্য এতটা নিচু কাজ করতে পারে, তা ভাবাও যায় না। সেক্স র্যাকেটের সঙ্গে জড়িত ধনঞ্জয় কুমার নিজেই নিজের স্ত্রীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করিয়ে নিতেন। সে নিজেই তার স্ত্রীর জন্য খদ্দের বুক করতেন এবং টাকা নিজে নিতেন। পতিতাবৃত্তির বিনিময়ে পাওয়া টাকা দিয়ে খরচ চালাতেন।
সচিবালয়ের এএসপি কাম্য মিশ্রের মতে, জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিতারা জানিয়েছে যে সে গত এক মাস ধরে পতিতাবৃত্তি অপারেটরের খপ্পরে পড়েছিল। এক মাসে না হলেও ২৫ দিন তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানো হতো। প্রতি রাতে অন্তত দুই বার করে তাদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হতো।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, এক গ্রাহকের কাছ থেকে তাকে তিন হাজার টাকা নিতে হত। আবারও এই কাজ করলে আবারও তিন হাজার টাকা নেওয়া হয়। এ টাকার মধ্যে অপারেটর নিত এক হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত এর আগে সেক্স র্যাকেট মাফিয়ার জন্মদিনের পার্টি চলাকালীনই রাজধানী পাটনার বিমানবন্দর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। সেখান থেকে তিন নারী ও চার জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থানা এলাকার সিদ্ধার্থ কলোনির লাভ-কুশ অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ১০৮ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়।
সূত্রের খবর, এখান থেকে কিছু আপত্তিকর জিনিসও পেয়েছে পুলিশ। এই অভিযানের পরেই এসএসপি ডাঃ মানবজিৎ সিং ধিলোন এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। বিমানবন্দর থানায় গভীর রাত পর্যন্ত সমস্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এক মহিলাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়।
পুলিশ অ্যাপার্টমেন্টের এক গার্ড ওমপ্রকাশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যে ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয় তার মালিক এক মহিলাকে ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছিলেন। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মামলাটি সেক্স র্যাকেটের সঙ্গে জড়িত, যা নিয়ে তদন্ত করে আরো তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে।