কুকুর কামড়ালে স্বাভাবিক ভাবে মানুষ চেষ্টা করে ভ্যাকসিন নেওয়ার বা দেখে কুকুরটি সুস্থ আছে কি না। পাগল হয়ে যায়নি তো। তাহলে জলাতঙ্কের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এক যুবক একদমই অন্যরকম কাজ করে বসলো। তবে কিছুটা অদ্ভুত সেই ঘটনা। কারণ, এখানে যে বিষয় বলা হচ্ছে সেটা কুকুরের ব্যাপার নয়। এক যুবক কে কুকুর বলে অপমান করার কারণে এক পরিবারের ৬ জনকে কামড়ে দিলেন ওই যুবক। বাংলাদেশের (Bangladesh) পটুয়াখালির দুমকির পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামের এই ঘটনা জানতে পেরেই আঁতকে উঠছেন সকলেই।
আসলে ঠিক কী হয়েছিল? অনেকদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল মহম্মদ কালাম সর্দার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরার বাসিন্দা এবং আনোয়ার শিকদারের মধ্যে। কালাম সর্দার শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। অভিযোগ, ওনাকে কুকুর বলে খুব অপমান করেন বাবুল হাওলাদারের নামে এক প্রতিবেশী। আর কালাম সর্দার তাতেই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়। আনোয়ার শিকদার ও সাত্তার শিকদারের বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবারের লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। প্রতিবেশীরা বাধা দিতে এগিয়ে আসেন। তবে সেই বাধা না মেনে অভিযুক্ত কালাম সর্দার ওই পরিবারের শিশু-সহ ছ’জনকে কামড়ে দেয়। অভিযুক্ত মাত্র ৬ মাস বয়সি শিশুর উপরেও হামলা চালায়। বছর পঞ্চাশের মাসুদা বেগম, সুমাইয়া আক্তার, রাইয়ান, শাকিল, লাভলী ও তাসমিম হলেন সেই জখমরা। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন জখমরা সবাই।
মহম্মদ মিজান সর্দার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ অত্যন্ত খারাপ সালাম ও কালামের পরিবার। আগেও মৌলবী আবদুল বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়ে দেয় কালাম সর্দার। আর এবার হামলা চালাল সে একই পরিবারের ছ’জনের উপর।” মহম্মদ আবদুস সালাম দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযোগ পেলে।”