প্রথমে যুবক এক বিবাহিত মহিলাকে দিয়েছিলেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি। তারপর আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছিলেন প্রেমের সম্পর্ক। এতোটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তারা যে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন প্রায়শঃই সহবাসে। মাঝেমধ্যেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে ওই যুবকের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতেন গৃহবধূ। ভেবেছিলেন সম্পর্ক পরিণতি পাবে। আর সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই নিজেদের সঙ্গমের সময়ের ভিডিও পর্যন্ত শুট করেন ওই যুবক। তারপরেই সেই যুবক ধারণ করেন স্বমূর্তি। বিয়ের কথা শোনা মাত্রই নাকচ করে দেয় যুবক। ক্রমশই গৃহবধূকে হুমকি দেয় যে সে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সেই ভিডিও আপলোড করে দেবে। নিজের ভুল বুঝতে পারে ওই গৃহবধূ। টের পায় তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ওই যুবক দিনের পর দিন ঘনিষ্ঠ হয়ে সহবাস করে এখন প্রতারণা করেছে। তখন তিনি পুলিশের কাছে পৌঁছে যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূকে বিয়ের দেওয়া হয়েছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি। তাঁকে ভালোবাসে এবং বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন যৌন মিলন করেছেন অভিযুক্ত যুবক ফুরকান মেহমুদ। আর দিনের পর দিন তাদের এই মিলনের ভিডিও রেকর্ড করে রাখে এই অভিযুক্ত যুবক। তার পর হুমকি দেয় যে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। উপায় না পেয়ে গৃহবধূ পুলিশের দ্বারস্থ হলে ওই যুবককে গ্রেফতার করে নারায়ণপুর থানার পুলিশ।
পুলিশের কাছে গৃহবধূর অভিযোগের বক্তব্য অনুযায়ী, বিয়ের করবেন এমন নিশ্চয়তা দিয়ে গৃহবধূর ঘনিষ্ঠ হয় ফুরকান মেহমুদ। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন তারা সঙ্গম করতেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে যেতে থাকলে বিয়ের কথা বলা মাত্রই নিজ মূর্তি ধারণ করে ফুরকান। তখন থেকেই সহবাসের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই গৃহবধূকে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেয়। ব্ল্যাকমেল করে আরও কয়েকবার যৌন মিলন করে।
এই গৃহবধূকে সহবাসের অভিযোগ ৩রা জানুয়ারি নারায়ণপুর থানায় দায়ের করা হয়। ওই গৃহবধূ নিজেই নারায়ণপুর থানায় পৌঁছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ সেই যুবককে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।