রাজ্যে জারি হয়েছে ১৬ই মে থেকে ৩০শে মে অবধি লকডাওন। আর লকডাউনের প্রথম দিনেই রাজ্য জুড়ে দেখা গেলো পুলিশি কড়াকড়ির নিদর্শন। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই জারি পুলিশের কড়া নজরদারি। লকডাউন পালনে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। লক্ষ্য, করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কে নিন্মমুখী করা। কভিডের চেইন কে ভেঙে দেওয়া।
১৬ই মে অর্থাৎ রবিবার ভোর থেকেই হাওড়া ব্রিজ, গড়িয়া হাটের মোড়, ইত্যাদি সহ কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা তল্লাশি করা শুরু করে পুলিশ। একমাত্র জরুরি পরিষেবায় সাথে যুক্ত ব্যক্তিদেরই ছাড় মিলেছিল। এছাড়া যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তাদের প্রত্যেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে হাওড়া স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন থেকে আগত যাত্রীরা খুবই সমস্যায় পড়েন কোনো যানবাহন না পেয়ে। এরপর হাওড়া সিটি পুলিশের এই ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা গৃহীত হয়। বাসের ব্যাবস্থা করা হয় তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য।
হাওড়ার মতো লকডাউনের শুরুর দিনে হুগলিও ছিল ফাঁকা। সকালে বাজার খোলা থাকলেও সেই ভাবে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়নি। চুঁচুড়ার চকবাজার, খরুয়াবাজার, রবীন্দ্রনগর বাজার, ব্যান্ডেল, চন্দননগরের বড় বাজার, শেওড়াফুলি বাজার, শ্রীরামপুর বাজার, উত্তরপাড়া — ইত্যাদি সমস্ত জায়গায় ছবিটা একই। হুগলির জুটমিলগুলিতে ৩০ শতাংশ হাজিরা নিয়ে কাজ চলছে। জেলা জুড়ে বন্ধ সমস্ত গণ পরিবহন। তবে রাস্তায় দেখা মিলেছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি গাড়ি দেখা গিয়েছে। যদিও, সমস্ত জায়গাতেই কড়া ভাবে জারি ছিল পুলিশের নাকা তল্লাশি।
গত বছরের মতন এবারেও লকডাউনের অনেকেই অনেক চতুরতা করেছেন। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিতে অনেককেই নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এরকম ফলস স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে অনেকে বেরিয়েছিলেন। এই ছবি দেখা গিয়েছে, বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে। তবে ফলস স্টিকার লাগানো সেই গাড়ি পুলিশের হাতের ধরা পড়ে যায়। সকাল ১০টা বাজতেই পুলিশ বাজার বন্ধ করা শুরু করে দেগঙ্গা বাজারে। বিনা কারণে যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। এমন ১০ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।