কালীপুজো উপলক্ষে লটারির খেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে বাকী লটারি প্রতিযোগিতায় যেমন নগদ পুরস্কার অথবা গাড়ি, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় এই ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না। যে ভাগ্যবান এই লটারি প্রতিযোগিতায় জিতবেন তার হাতে তুলে দেওয়া হবে দামি ব্র্যান্ডের মদ। প্রথম থেকে দশম— সকল স্থান অধিকারী কে ই দেওয়া হবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন দামের মদ। এমন নতুন ধরনের লটারির আয়োজন ঘিরেই বিতর্ক ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে। মদ পুরস্কার হিসেবে রেখে লটারি প্রতিযোগিতার অয়োজনের জন্য আঙ্গুল উঠেছে সেখানকার একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে। খবর একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের।
কালীপুজোয় রাজ্যের নানা জায়গাতেই চলে লটারি খেলা। এমনকি কোন কোন জায়গায় জুয়া খেলাও বাদ যায়না। কালী পূজার সময় নানা অভিযান চালায় পুলিশও। কিন্তু এইসব উদাহরণ কেও ছাপিয়ে গেছে এই লটারি প্রতিযোগিতা। সিরিয়াল নাম্বার -সহ লটারির পুরস্কারের একটি ছবিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। তা নিয়েই হয়েছে বিতর্ক। এ ভাবে লটারির আয়োজন করা কি আদৌ বৈধ এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া লটারির স্লিপের যে ছবিটি দেখা যাচ্ছে তার একেবারে উপরে লেখা, ‘কালীপূজা গিফ্ট কুপন’। নিচে লেখা, ‘বানারহাট, জলপাইগুড়ি’। সঙ্গে রয়েছে খেলার তারিখ এবং ক্রমিক নম্বর। এর নীচে দেওয়া রয়েছে লটারি তে জিতলে কি পুরস্কার পাওয়া যাবে। ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে সেই থেকে জানা গেছে, প্রথম থেকে অষ্টম স্থান অধিকারী প্রত্যেক প্রাপক কে দেওয়া হবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ‘বিলিতি’ মদ। লটারিতে নবম পুরস্কার পাবেন তিন জন এবং দশম পুরস্কার পাবেন ৩০ জন। তবে এই দুই স্থানাধিকারী ব্যাক্তিরা পুরস্কার হিসাবে পাবেন তুলনা মূলক কম দামের আর কম পরিমাণের মদের বোতল। প্রতিটি টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১০০ টাকা।
এ রকম ভাবে মদের বোতল পুরস্কার হিসেবে রেখে লটারির আয়োজন করা আদৌ বৈধ কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বানারহাট পুলিশ প্রশানের তরফে জানানো হয়েছে, লটারি প্রতিযোগিতার বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ রকম লটারির আয়োজন সত্যিই হয়ে থাকলে আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইন মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কিছু মানুষ মনে করছেন এই কাজ সরাসরি মদ খাওয়াকে উৎসাহ দিচ্ছে। আবার কারো কারো মতে এটা ঠিকই আছে।