ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘিরে পুরুলিয়ার রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূলের দাবি, রাজ্য সরকারকে বদনাম করতে বিজেপি ঘৃণ্য চক্রান্ত করছে। সরকারের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করার দায়ে এক সাংসদ, দুই বিধায়ক সহ মোট ছয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে রঘুনাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হল। তৃণমূল নেতা অভিযোগ করলেন। পালটা পুলিশে গেল বিজেপি নেতৃত্ব, ‘ফেক’ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল করে বিজেপিকে বদনাম করার অভিযোগ পুলিশ পুলিশেঅভি।তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ভাইরাল চ্যাটের কিনারা না হলে সাংসদ, বিধায়করা রাস্তায় ধরনায় বসবেন বলে বিজেপি নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির ‘কোর’ কমিটির একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয় পুরুলিয়ায়। যেখানে দেখা যায় একটি গ্রুপে বলা হচ্ছে, “ঘর পাবে বলে বেশি করে লোক ঢুকিয়ে দাও প্রশাসনের ত্রাণ শিবির বা স্কুলগুলিতে । ফলে করোনা হবে। সরকার ফাঁসবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর নামে দেওয়া ‘নির্দেশে’ সম্মতি দিতে দেখা গিয়েছে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর নামের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টকে।
বিজেপির সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এই পোস্ট। এর পরই এক সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ মোট ছয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা রঘুনাথপুরের তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউরি পুলিশে অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “ছিঃ বিজেপি ছিঃ। এই চ্যাট পাঠিয়ে তদন্ত করে দেখতে বলেছি পুলিশকে। দোষীদের শাস্তি হোক তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হলে। এটা সত্য আমি নিশ্চিত। বিজেপি এরকমই করে মানুষ বুঝে গেছে।”