বেশ চমকপ্রদ কারণে একজন আইনজীবীকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড এর সাজা দেওয়া হয়েছে। গত ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয়বার তাঁকে দেখতে পাওয়া গেছে শহরে নগ্ন অবস্থায় গাড়ি চালাতে। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই আইনজীবীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিচার সংক্রান্ত কাজ থেকে বরখাস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাটি আমেরিকার ওহাইও রাজ্যের।
‘news.yahoo.com’-এর খবর অনুযায়ী, ৫০ বছরের সিনিয়র আইনজীবী স্কট ব্লুভেল্ট ১৯৯৭ সাল থেকে বিচারের ক্ষেত্রে একজন শীর্ষ আইন কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু নগ্ন হয়ে গাড়ি চালানোর অদ্ভুত প্রবণতা তার ক্যারিয়ারে বিরূপ প্রভাব ফেলে। জানা গেছে, তিনি বিরল রোগে ভুগছেন।
২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে, তাকে প্রায় পাঁচবার নগ্ন অবস্থায় গাড়ি চালাতে দেখা গেছে, যার মধ্যে তিনবার দেখা গেছে গত ১২ মাসে। এ সময় তার বিরুদ্ধে গাড়ি চালানোর সময় এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করার অভিযোগও ওঠে।
আইনজীবীর বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে:
তবে আইনজিবি স্কট ব্লুভেল্টের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০২০ সালে তিনি প্রকাশ্যে অশালীনতা এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। তারপর তাকে হাইপারসেক্সুয়ালিটি ডিসঅর্ডারের চিকিৎসার জন্য দুই বছরের প্রোগ্রামে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সংবাদ অনুসারে, ২০২০ সালে, তার শেষ স্থগিতাদেশের তিন মাস পরে, তাকে নগ্ন গাড়ি চালানোর জন্য এবং আরও দুটি অনুষ্ঠানে অশ্লীল কাজের জন্য আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যার জন্য বাটলার কাউন্টি বার অ্যাসোসিয়েশন তাকে বরখাস্তের দাবি করেছিল। তবে চলতি সপ্তাহে আরো একবার নগ্ন হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পর তাকে মোট ১৪ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাকে প্রায় দুই থেকে পাঁচ বছর প্রবেশনে রাখা হবে।
এই ক্ষেত্রে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে স্কট ব্লুভেল্ট এর ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডারের জন্য চিকিৎসা করা হচ্ছে এবং তিনি তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন’। আদালত আরও বলেছে যে তিনি ভবিষ্যতে আইন অনুশীলনে ফিরে আসতে পারেন, তবে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে তার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক আছে।