চির ঘুমের দেশে লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতা মঙ্গেশকর সকাল ৮টা বেজে ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কোকিল কণ্ঠী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর খবর সঙ্গীতপ্রেমীদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। যার প্রেমে ভরা গান সবার মুখে হাসি এনেছে, আজ সেই গানগুলো সবার চোখ ভিজিয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতা মঙ্গেশকর আর আমাদের মাঝে নেই। স্মৃতি চারণায় ফিরে দেখা কিংবদন্তি গায়িকার জীবন।
বেশ সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন প্রবাদপ্রতিম গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি অভিনয় জগতের পরিচিত মুখ। বাবার হাত ধরেই খুব অল্প বয়সেই নাটক এবং গানের জগতে তাঁর প্রবেশ। দিদিমার কাছে লোকসঙ্গীতের তালিম নেওয়া শুরু সেই ছোটবেলায়। মাত্র ১৩ বছর বয়স যখন লতা মঙ্গেশকরের তখন গান গেয়ে ২৫ টাকা রোজগার করেছিলেন লতা। অধ্যবসায় আর কাজের প্রতি নিষ্ঠা ছিল ‘ভারতের নাইট আঙ্গেল’ লতা মঙ্গেশকরের আকাশ ছোঁয়া সাফল্যের মূলে। সারা ভারতের মানুষকে কাঁদিয়ে রবিবার সুরলোকে পাড়ি দিলেন তিনি।
সূত্র অনুযায়ী এখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৭০ কোটি। তাঁর সখ ছিল কিছু শৌখিন গাড়িরও। গানের রয়্যালিটি থেকেই প্রতি মাসে আয় করতেন তিনি ৪০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। বছরে সুর সম্রাজ্ঞী পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের পশ এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। পেডার রোডে অবস্থিত প্রভাকুঞ্জ ভবনে বাস করতেন লতা মঙ্গেশকর। এত বিত্তশালী হয়েও তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। দিদির মতোই স্নেহ করতেন সকলকে।
গাড়ির বিষয়ে ভীষণ শৌখিন ছিল লতা দিদি। গাড়ির নজরকাড়া সংগ্রহ ছিল লতা মঙ্গেশকরের। তাঁর বাসভবন ‘প্রভুকুঞ্জে’র গ্যারাজে থাকত কিছু দুর্দান্ত এবং স্টাইলিশ গাড়ি। নিজের দেওয়া বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে গাড়ির প্রতি তাঁর অসীম ভালবাসার কথা জানিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। গানের কেরিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর ছিল একটি শেভরলে। মায়ের নামে গাড়িটি ক্রয় করেছিলেন ইন্দোর থেকে। এছাড়াও কোকিল কণ্ঠির গ্যারেজে ছিল বুইক এবং ক্রিসলার। পরে যশরাজের তরফে তাঁকে উপহার দেওয়া হয় একটি মার্সিডিজও।