চির ঘুমের দেশে লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতা মঙ্গেশকর সকাল ৮টা বেজে ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সারা দেশ তাঁর প্রয়াণে শোকাহত।
ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ লতা মঙ্গেশকরের বাসভবন প্রভাকুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর মরদেহ। সেখানে কিছুক্ষণ শায়িত থাকে তাঁর নশ্বর দেহ। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন অসংখ্য তারকা এবং বিশিষ্টজনেরা। তার পর সেখান থেকে বিকেল চারটে নাগাদ শেষকৃত্যের জন্য শুরু হয় শিবাজি পার্কের উদ্দেশে যাত্রা। পথে লতা মঙ্গেশকরের অগুনতি ভক্ত শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। ভিড় সামলাতে হিমসিম খায় পুলিশ। লতা মঙ্গেশকরের শেষযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন প্রায় ২৭০০ পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন ডিসিপি-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। তাঁর বাসভবন প্রভাকুঞ্জ থেকে তাঁর মরদেহ শেষকৃত্যের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় শিবাজী পার্কে।
এদিন শিবাজি পার্কে ভারতের নাইটাঙ্গেল কে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মতো বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা। উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান থেকে শচীন তেন্ডুলকর, আমির খান, রণবীর কাপুর, জাভেদ আখতারদের মত বহু তারকাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গুণমুগ্ধরাও।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেতকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সুরসম্রাজ্ঞীর। সময় থাকতেই সেখানে শুরু হয়েছিল শেষকৃত্যের প্রস্তুতি। শেষকৃত্যে ‘মন্ত্রাগ্নি’ ব্যাবস্থায় ছিলেন আটজন পুরোহিত। শেষকৃত্যের সময় ক্রমাগত মন্ত্রোচারণ করেন তাঁরা। শিবাজি পার্কে সেই সময় উপস্থিত মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ দিদির মুখাগ্নি করেন। বৈদিক মন্ত্রোচ্চরণে মুখাগ্নি করা হয় তাঁর। দেওয়া হয় গান স্যালুট। শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার আগে তাঁর মরদেহের ওপর থেকে সরানো হয় জাতীয় পতাকা। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে আগামীকাল ছুটি ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে ভারতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা থাকবে অর্ধনমিত। রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল তাঁর শেষকৃত্য। লতা দিদির প্রয়াণে সোমবার অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও।