উত্তরপ্রদেশের হারদোই থেকে এক চমকপ্রদ কাহিনী সামনে এসেছে। সেখানকার এক শ্রমিক তার অতি ফ্যাশন সচেতন স্ত্রীর হাত থেকে নিস্তার পেতে চান। আসলে স্বামী-সন্তান নিয়ে রাজস্থানে গিয়ে সেখানে যে বাড়িতে উঠেছিলেন সেই বাড়িওয়ালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে স্বামীকে খাবারে বিষ মিশিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাড়িতে ডাকাতি করে পালিয়ে যায় স্ত্রী।
ঘটনাটি কোতোয়ালি শহরের বিলগ্রাম রোডে ঘটেছে স্বদেশ কুশওয়াহার এর সঙ্গে। মহিলার স্বামী স্বদেশ জানান, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই পিংকির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বদেশ পেশায় একজন শ্রমিক, অন্যদিকে পিঙ্কি খুবই খরুচে এবং ফ্যাশনেবল মহিলা। স্বদেশের দুই ছেলে আরিয়ান ও আদেশ। তিনি বলেন, তার স্ত্রীর এত চাহিদা, যার কারণে তার বাড়িতে ঝামেলা লেগেই থাকতো।
বাড়ির আর্থিক অবস্থার অবনতি হলে স্বদেশ কুশওয়ারা তার পরিবারের সাথে রাজস্থানে কাজ করতে যান এবং সেখানে চান্দনা মাখার যোধপুর শহরে জিতু প্রজাপতির বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এরই মধ্যে স্বদেশের স্ত্রী পিংকি ও জিতুর বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্ব কখন শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়, টেরও পায়নি স্বদেশ। স্বদেশ বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
এরপর স্বদেশ পুনরায় নিজের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৮ই আগস্ট, পিঙ্কির সেই বাড়িওয়ালা প্রেমিক জিতু তার বাড়িতে এসেছিল। একদিন পিঙ্কি তার প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বদেশকে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়। স্বদেশ অজ্ঞান হয়ে গেলে দুজনেই তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরে রাখা গয়না, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি থানায় পৌঁছালেও কোনো শুনানি হয়নি।
থানায় স্বদেশের আর্জির শুনানি না হলে স্বদেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে পিংকি ও জিতু প্রজাপতির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি নগরীতে ৩৪২/৩২৩/৫০৪/৫০৬/৪৯৪/৩৮০ ধারায় একটি প্রতিবেদন দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।