আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। আকার আয়তন এবং জন সংখ্যাতে এই দেশটি প্রায় একটি উপ মহাদেশের সমান। কিন্তু এই বিশাল দেশের অভ্যন্তরেই লুকিয়ে আছে এমন কিছু জায়গা যার রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। তেমনই একটি রহস্যে পরিবৃত জায়গা অবস্হিত ভারতের উত্তরে লাদাখে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৯৭০ ফুট উচ্চতায় লাদাখে অবস্থিত টিলা কঙ্কা-লা-পাস (Kongka La Pass) ভারতের বিখ্যাত অঞ্চল গুলির মধ্যে অন্যতম। এটি ভারত ও চীনের সীমান্ত মধ্যবর্তী একটি বিতর্কিত অঞ্চল। এটি সেই অঞ্চল যেখানে ১৯৬২ সালে ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনী একটি বড় যুদ্ধ করেছিল। কঙ্কা-লা-পাসের উত্তর-পূর্ব অংশটি চীনা অধীনে আকসাই চিন নামে পরিচিত এবং ভারতীয় দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলটি লাদাখ নামে পরিচিত।ভারত ও চিন চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ সীমান্তের এই অংশে টহল দেয় না।
কিন্তু এই বিতর্কের কারণের জন্যে এটি ভারতের রহস্যময় স্থানগুলির মধ্যে একটি হয়ে ওঠেনি। এই অঞ্চল পরিবৃত করে রেখেছে রহস্যের চাঁদোয়া।
কি সেই রহস্য? জানা যায় বেশ কয়েকবার ইউ-এফ-ও বা ভিন গ্রহের যান এবং বিচিত্র যন্ত্রমানবের দেখা মেলে এই কঙ্কা-লা-পাসে। এই কারণে ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র বিশ্বাস যে এই কঙ্কা-লা-পাস এলিয়েন বা ভিন্ন গ্রহের মানুষদের বাসস্থান। অনেকের মতে, ভিনগ্রহী প্রাণীরা এই পাসের ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন ঘাঁটিতে বাস করে এবং এই ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের ব্যাপারে ভারত এবং চীনা সরকার উভয়ই খুব ভাল করেই জানেন।
কিছুদিন আগে কিছু তীর্থযাত্রী কৈলাশ পর্বতে যাবার পথে আকাশে অদ্ভুত আলো দেখতে পান বলেন দাবি করেছে । আর তাদের দাবি আলো দেখা গেছিল এই কঙ্কা-লা-পাস থেকেই।
জানা যায় একবার কিছু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় অভিযাত্রী চীনা অধীনে থাকা এই অঞ্চলে যেতে চাইলে চীনা সেনাবাহিনী তাদের বাঁধা দেয়। এমনকি ভারতের দিক থেকে এমন চেষ্টা করা হলে ভারতীয় সেনা বাহিনীও কাউকে প্রবেশ করতে দেয় না।
এই তত্ত্বটির সপক্ষে যুক্তি দেয় গুগল থেকে প্রকাশিত ২০১৬ সালের জুনে গুগল আর্থের উপগ্রহের একটি চিত্র। এই উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় চীনা সীমান্তের দিকে একটি রহস্যময় মডেল। এমনকি এই মডেলটির চারপাশ একটি সামরিক ঘাঁটি সদৃশ ভবন দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে ভারত বা চীন সরকার কোনও না কোনও কারণে এই ঘটনাটি প্রকাশ করতে চায় না।
এমনকি এই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলে , তাদের বলা এই নিয়ে কথা না বলতে আর ওই অঞ্চলটি এড়িয়ে যেতে।