ট্রেন চলতে চলতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায় এক জায়গায়, আর সেজন্যই ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন এ দাঁড়ান। চারিদিকটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন রেললাইনে দাঁড়িয়ে , কিন্তু অপরদিক থেকে যে একটি ট্রেন ছুটে আসছে, তা কোনোভাবেই টের পাননি তিনি। ট্রেনের হর্ণের আওয়াজ আসার অনেক আগেই ট্রেন কাছে এসে যায় , ফলত ওই আগমণরত চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ৫ যাত্রীর মৃত্যু হল। সোমবার অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীকাকুলামে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতাগামী কোনার্ক এক্সপ্রেসের (Konark Express) ধাক্কায়।
রেলওয়ে সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেকেন্দ্রাবাদ-গুয়াহাটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে সোমবার বিকেল নাগাদ আচমকাই যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। ফলে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে শ্রীকাকুলামের কাছে বাটুভা গ্রামে। কোনও স্টেশন আশেপাশে না থাকায়, কেন মাঝপথে দাঁড়াল ট্রেন, তা জানতেই বেশ কয়েকজন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। ইঞ্জিনের কাছে গিয়ে তারা খোঁজখবরও নেন।
এরপরে পাশের লাইন ধরে তারা যখন নিজেদের কামরার দিকে এগিয়ে আসছিলেন, সেই সময়ই কোর্নাক এক্সপ্রেস ওই যাত্রীদের পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে। সেকেন্দ্রাবাদ-গুয়াহাটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসটি যে লাইনে দাঁড়িয়েছিল, উল্টোদিক থেকে ঠিক তার পাশের লাইন দিয়েই আসছিল কোনার্ক এক্সপ্রেস। মোট সাতজনকে চাপা দেয় কলকাতাগামী ওই ট্রেন বলে জানা গিয়েছে। পাঁচজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে , কাছাকাছি কোনও স্টেশন না থাকায়, দ্রুতগতিতে আসছিল কলকাতাগামী কোনার্ক এক্সপ্রেস। তবে চালক দেখতে পেয়েছিলেন কিনা লাইনে ঘুরে বেড়ানো যাত্রীদের, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যদি বাজানো হয়, তবে লাইন থেকে সরেননি যাত্রীরাই বা কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
শোক প্রকাশ করেছেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি দুর্ঘটনার খবর পেয়েই। যাবতীয় সহযোগিতা ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসনকে বলেছেন বলেই তিনি জানান।