ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে জীবন অতিবাহিত করেন যারা তেমন এক জনের মাসিক আয় কত হতে পারে? হয়তো আমরা অনেকেই এটা অনুমান করতে পারি না যে সারা দিন ভিক্ষা করে একজন ভিখারী কতই বা টাকা আয় করতে পারে। ভিখারী বললেই আমাদের মনে আসে কিছু মানুষ যাদের আর্থিক সঙ্গতি বলতে কিছুই নেই। মানুষের কাছে সারাদিন ধরে চেয়েচিন্তে কোনো ভাবে দিন গুজরান করেন। রাস্তাঘাটে, ধর্মস্থানে, স্টেশনে, বাস স্ট্যান্ডে এমন অনেক ভিখারী আমাদের সকলের চোখে পড়ে যারা সবার কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করেন। স্বাভাবিক ভাবেই কেউ কেউ এঁদের সাহায্য করেন অল্প সল্প টাকা বা খুচরো পয়সা দিয়ে। এই ভাবে চেয়ে চিন্তে কতই বা টাকা তারা আয় করেন। খুব বেশি হলেও ধারণা হয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার কী ৭ হাজার!
কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন এই ভারতবর্ষে এমনও ভিখারি আছেন, যাদের মাসিক আয় অনেক সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করা মানুষের আয়ের থেকে অনেক বেশি। শুধু তাই নয় ভিক্ষা বৃত্তি অবলম্বন করেই বিলাসবহুল জীবনযাপনও করেন তারা। অবাক লাগছে নিশ্চয়ই এমনটা শুনে? কিন্তু এই তথ্য আমাদের অনেকেরই জানা নেই। পড়ুন এদের মধ্যেই কয়েকজনের কথা-
ভরত জৈন:
ভারতের এক জন ‘ধনী’ ভিখারি হলেন ভরত জৈন। কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভরতই এই দেশের অন্যতম ‘ধনী’ ভিখারি। ভরত জৈন মুম্বইয়ের প্যারেল এলাকায় ভিক্ষা করেন। দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল বা আজাদ ময়দান চত্বরে ভিক্ষা করতে দেখা যায় তাকে।তাঁর মাসিক আয়, সম্পত্তির পরিমাণ আপনাকে তাক লাগবে। ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সী এই ভিখারীর মাসিক উপার্জন ৭৫ হাজার টাকারও বেশি। শুধু কি তাই, ভরত ভিক্ষা করেও দু’টি অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়েছেন যার প্রত্যেকটির বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। বাবা, দুই ভাই, স্ত্রী আর দুই সন্তান কে নিয়ে ভরতের পরিবার। ভিক্ষা করেই ভরতের একটি দোকানও বানিয়েছেন। সেই দোকান ভাড়া দিয়ে মাসে ১০ হাজার টাকা পান তিনি।
লক্ষ্মী দাস: মুম্বাই নয় শুধু কলকাতাতেও রয়েছে এমন ভিখারীর খোঁজ। কলকাতার এক ভিখারী লক্ষ্মী দাসও ১৯৬৪ সাল থেকে ভিক্ষা করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। জীবনের প্রায় পঞ্চাশ বছর ভিক্ষা করেই টাকা জমিয়েছেন তিনি। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, লক্ষ্মীর প্রতি মাসে আয় ৩০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে প্রচুর টাকা জমা রয়েছে তাঁর।
সরভাতিয়া দেবী: পাটনায় ভিক্ষা করেন সরভাতিয়া দেবী। ভিক্ষা করেই পাটনায় অশোক সিনেমার পাশে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন সরভাতিয়া দেবী। শুধু ভিক্ষা করেই তিনি বছরে বিমার প্রিমিয়াম জমা করেন প্রায় ৩৬ হাজার টাকা।