ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত শ্রীগঙ্গানগর জেলায় চিকিৎসার নামে কুসংস্কার কে প্রশ্রয় দেওয়ার মতন মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে কিছু তন্ত্র মন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ চিকিৎসার নামে ছোট্ট এক শিশুকে ঘাড় পর্যন্ত গরম বালিতে পুঁতে রেখে দিয়েছিল। নির্যাতিত শিশুটি এখন হাঁটতে পারছেন না। কিছু মানুষ তাদের ক্যামেরায় বন্দী করেছে এসব মানুষের অপকর্ম। ভিডিও তৈরির পর তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্রথম নয়, দুদিন আগে শ্রীগঙ্গানগর জেলায় কথিত চিকিৎসার নামে দুই তরুণীকে চিমটা ও বার দিয়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও সামনে এসেছিল।
সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে সুরতগড়ের ৬২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পিপেরান এলাকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুজন বাবা একটি বালিয়ারিতে বসে একটি ছোট নিষ্পাপ শিশুকে গরম হয়ে যাওয়া বালির মধ্যে গলা পর্যন্ত চেপে দিচ্ছেন। এই মানুষগুলো জানিয়েছেন হরিয়ানা অঞ্চলের এই শিশুটি হাঁটতে পারে না। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য হস্তান্তর করেছেন। তারা এই ভাবে চিকিৎসা করছেন।
বালি থেকে শিশুটিকে বের করে আনেন কয়েকজন:
রোববার রাতে এ খবর পেয়ে পিপেরান এলাকায় কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ওই স্থানে পৌঁছান। পরে ভিডিও তৈরি করে লোকেরা এই শিশুটিকে গরম বালি থেকে বের করে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে। কথোপকথনে পরিবার তাদের সম্মতিতেই তাকে তান্ত্রিক বাবার কাছে হস্তান্তরের কথা বলে।
পুলিশ তান্ত্রিক বাবা ও শিশুটির পরিবারকে থানায় ডেকে পাঠায়:
ঘটনার খবর পেয়ে পিপেরান সরপঞ্চও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। এরপর ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ এসব কথিত বাবাদের এমন করতে নিষেধ করে সোমবার শিশুটির স্বজনসহ সবাইকে থানায় তলব করেছে। লক্ষণীয় যে শ্রী গঙ্গানগরে রোগের চিকিৎসার জন্য কুসংস্কারের এটিই প্রথম ঘটনা নয়। দুদিন আগে কুসংস্কারের জেরে দুই বোনকে চিমটা দিয়ে দাগ দিয়েছিল কয়েকজন তান্ত্রিক।