শুরু হল শারোদৎসব। দুর্গার আগমনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে আমাদের রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসব সাড়ম্বরে পালিত হলেও অন্যান্য রাজ্যের মানুষ নবরাত্রি পালন করেন। নবরাত্রিতে ৯ দিনে দুর্গার নটি রুপের পুজো করা হয়। শৈলপুত্রী,ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা,কূষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা,কাত্যায়নী, কালরাত্রি,মহাগৌরী,সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করা হয়।
ব্রতের সময় কেউ ফলাহার করেন আবার কেউ কেউ ন’দিন ধরে নির্জলা উপোসও করেন। বলা হয়, শুদ্ধমনে এই নয়দিন সব নিয়ম মেনে যদি পুজো করেন তবে সব ইচ্ছা পূরণ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপোসের দিনে হালকা এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যদি সঠিকভাবে ব্রত পালন করেন, তাহলে এটি আপনাকে শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করবে না বরং আপনার শরীরের সিস্টেম পুনরায় চালু করতে সাহায্য করবে। তাই এই সময় আপনার কী খাওয়া উচিত এবং কী নয়?
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন যে, দীর্ঘক্ষণ উপবাসে থাকার পর আমাদের ফল খাওয়া দরকার। ফলে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। যা সেই সময়ে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফলের সঙ্গে টাটকা নারকেল, ড্রাই ফ্রুটস এগুলোও রাখতে পারেন আপনার খাবাররে তালিকায়।
সবজি রান্নার ক্ষেত্রেও তাঁরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, সেই খাবারে যেন খুব অল্প পরিমাণে লঙ্কা, মশলা এবং তেলের ব্যবহার করা হয়। এই সময় নুন খাবেরন না।
ভাজা, তৈলাক্ত বা মশলাদার কোনও খাবার খেয়ে উপোস ভাঙবেন না। সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে এমনিতেই ডিহাইড্রেশন হয়। তার ওপর তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর আরও জল টানবে। এতে শরীর খারাপ হবে। উপোস ভাঙার পর সব থেকে বেশি প্রয়োজন জল খাওয়া। তাই অল্প অল্প জল খেতে থাকুন। প্রতি দু’ঘণ্টায় জল অবশ্যই খাবেন।