শেষ পর্যন্ত নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তকর্ণাটকের মাইসুরুর লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি গ্রেফতার হলেন। অবশ্য আগে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কিন্তু শিবমূর্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল । কি বৃহস্পতিবার কর্ণাটক পুলিশ শিবমূর্তির বিরুদ্ধে লুকআউট জারি করে । আর তারপরই শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু (Shivamurthy Murugha Sharanaru) গভীর রাতে গ্রেপ্তার হন। শুধুমাত্র তিনিই নন এই মামলায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে ।
ওই ধর্মগুরু ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে বলে অভিযোগ। তাকে শুরুতেই আটক করা হলে উত্তাল শুরু হয়ে যায় মাইসোর শহরে । বৃহস্পতিবার অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিত্রদুর্গার আদালতে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
এদিন শিবমূর্তিকে চিত্রদুর্গার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রেপ্তারির পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। পরে সেখান থেকে কোনও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্ত ধর্মগুরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। মাইসুরু পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, মুরুঘা মঠ পরিচালিত স্কুলে পড়ত ওই দুই নির্যাতিতা কিশোরী। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ১৫ ও ১৬ বছরের ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শিবমূর্তি। বেসরকারি এক সংস্থার সঙ্গে পরে যোগাযোগ করে সমস্ত কথা খুলে বলে নির্যাতিতারা। এরপরই অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ সৃষ্টি হয় জনমানসে। কেবল শিবমূর্তি নয়, অভিযুক্ত হন মঠেরই আরও চারজন তাঁকে এই কাজে সাহায্য করার অভিযোগে।
অবশ্য শিবমূর্তি বলেছেন তার বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই চক্রান্ত চলেছে এবং তাকে ফাঁসানো হচ্ছে সে নির্দোষ এবং খুব তাড়াতাড়ি সে সে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।