সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বেগম কারিনা কাপুর খান বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে একজন। পর্দায় তার রূপের ছটায় আক্রান্ত বহু পুরুষ। তার স্বামী সইফ এর সাথে তার অনস্ক্রিন – অফস্ক্রীন জুটি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন নিজের যৌন জীবনে আগ্রহ পাচ্ছিলেন না তিনি। এমনকি স্বামী সইফের সাথে তার নিয়মিত যৌন জীবন বিঘ্ন হয়েছিল। কি করে কাটিয়ে উঠলেন তিনি সেই সময়। এই বিষয়ে নিজেই জানিয়েছেন করিনা কাপুর খান (Kereena Kapoor Khan)।
বর্তমানে করিনা কাপুর খান, দুই পুত্র – তৈমুর এবং জেহ – এর মা। দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম দেওয়ার পর তিনি একটি বই লিখেছেন যেখানে তার নিজের প্রেগন্যান্সি চলাকালীন তিনি কেমন অনুভব করতেন, তার যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া ও ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি করণ জোহরের সাথে একটি চ্যাট শোয় তার প্রথম বই, কারিনা কাপুর খানের প্রেগনেন্সি বাইবেল (Kareena Kapoor Khan’s Pregnancy Bible) প্রকাশ করে তার গর্ভাবস্থা এবং আরও অনেক কিছু বিষয়ে নিয়ে নিজের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন করিনা। কথোপকথন চলাকালীন করিনা জানা কারিনার গর্ভবতী হওয়ার সময় তার যৌন আগ্রহ অনেক সময় কমে গিয়েছিল। কিন্তু এই ক্ষেত্রে স্বামী সৈফের ভীষণ ভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং তাকে বুঝতে চেষ্টা করেছিল।
করণ শো চলাকালীন করিনা কে জিজ্ঞেস করে “তুমি নিজেই জানিয়েছিলে যে তুমি গর্ভাবস্থা চলাকালীন কীভাবে নিজের সেক্স ড্রাইভ (Sex Drive) হারিয়েছিলে এবং তোমার স্বামী সেই দিনগুলিতে খুব পাশে ছিল। কিন্তু একজন নারীর গর্ভাবস্থায় যৌন জীবনকে ঘিরে তার মনের মধ্যে কী চলে এবং একজন মহিলা নিজেকে কেমন অনুভব করেন”? এই প্রশ্নের উত্তরে কারিনা করন জোহরকে বলেন যে এই সময়ে একজন পুরুষের জন্যে তার স্ত্রীর পাশে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ন। তখন একদমই উচিৎ নয় তার স্ত্রীকে সুন্দর দেখতে বা তাকে কম অনুভব করার জন্য চাপ ইত্যাদি দেওয়া।
করিনা বলেন “মানুষ শুধু মনে করে আপনি গর্ভবতী হন। কিন্তু তার সাথে সাথে আপনার মেজাজ, আবেগ, অনুভূতি, আপনি আসলে আপনার সম্পর্কে কী অনুভব করেন। এই গুলো তারা বুঝতে পারে না। কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু দিন, আমি খুব আশ্চর্যজনক এবং সেক্সি অনুভব করতাম, এবং মনে হত ‘ওহ মাই গড, আমি এই পেট দিয়ে আমায় কি সুন্দর লাগছে’। কিন্তু গর্ভাবস্থার ছয়-সাত মাস পরে এমন কিছু সময় ছিল যেখানে আমার মনে হয়েছিল আমি ভীষণ ক্লান্ত এবং আমি সকালে উঠতে পারতাম না। তবে কখনও কখনও, এটি কেবল বিকর্ষণের অনুভূতি। আপনি কেবল একটি মানসিক অবস্থায় আছেন যখন আপনি জানেন না কী ভাববেন। সেই সময় আপনার পাশে একজন সহায়ক পুরুষ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অধিকাংশ পুরুষের উচিত তাদের স্ত্রীদের উপর চাপ না দেওয়া। এমনকি সেই সময় আগের মত নিয়মিত যৌন জীবন অতি-সক্রিয় হয় না, সেটাও সঙ্গীর বোঝা দরকার।”
অবশ্য নবাব ঘরনী জানিয়েছেন তিনি তার গর্ভাবস্থার প্রতি মুহূর্তে স্বামী সইফকে পাশে পেয়েছেন। সইফ তাকে প্রতি মুহূর্তে ভালো অনুভব করতো এবং গুরুত্ব দিত। করিনা আরো বলেন এই ভাবেই প্রতিটি স্বামীর উচিৎ স্ত্রীর পাশে থাকা তাকে সুন্দর অনুভব করানো যেভাবে সইফ তাকে করিয়েছেন।