মদ্যপ অবস্থায় রাতে অনেক দেরী করে বাড়ি ফেরা যেন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল । কিছুতেই মেনে নিতে পারত না মেয়ে এই ব্যাপারটি । যার কারণে এক ভয়ানক কান্ড ঘটিয়ে ফেলল মেয়েটি যা জেনে সকলেই অবাক। রোজকার মতো মদ্যপ অবস্থায় রাত করে মেয়েটির বাবা বাড়ি ফিরে ছিল, সেই সময় কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের বাবাকে কোপানোর অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির দক্ষিণ ঘরবাড়ি ভোটপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় অনেকটা গভীর ক্ষতর সৃষ্টি হয়েছে মেয়েটির বাবার মাথায়। বেশ কিছু সেলাই পড়েছে তাঁর মাথায়। বর্তমানে তিনি ধুপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে ।
সূত্রের খবর, ওই আহত ব্যক্তির নাম আমিনুর ইসলাম। বছর ৪০ এর আমিনুর ইসলাম এর বাড়ি দক্ষিণ খয়েরবাড়ি এলাকায়ওই ব্যক্তি,তিনি পেশায় দিনমজুর। প্রতিবেশীরা জানান প্রায় প্রত্যেক দিনই রাত করে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন আমিনুর। আর সেই কারণে প্রায় প্রতিদিনই অশান্তি হতো বাড়িতে। ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতেও একইভাবে মদ্যপ অবস্থাতেই বাড়ি ফেরেন। আর অঘটন তখনই ঘটে। অভিযোগ, আমিনুরকে দেখেই প্রচন্ড রেগে যায় তাঁর মেয়ে। আর তারপরই রাগের মাথায় সেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকেন আমিনুর কে । এই আকস্মিক আঘাতে মাথায় প্রচন্ড চোট পান আমিনুর।
রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় লুটিয়ে পড়েন তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই। অভিযোগ, অস্ত্র উঁচিয়ে বাবার ওপর আবারও চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা আমিনুরের আর্তনাদ শুনে। তাঁরাই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান আমিনুরকে।
এরপরই স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে আমিনুরকে ওই অবস্থায় বাড়িতে ফেলে বাড়ি থেকে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় আমিনুরকে স্থানীয় বাসিন্দা ও এক টোটোচালকের উদ্যোগে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি হাসপাতালে। তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা সেখানে হয়। তিনটি সেলাই পড়েছে মাথায় গভীর ক্ষত হওয়ায়। আহত আমিনুর অভিযোগ করেছেন যে ছেলে, মেয়ে এবং বউ তিনজনে মিলেই তাকে মারধর করে এবং তার মূল কারণ, মদ্যপান।