পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন রোগী। কেন এমন যন্ত্রণা সেটা জানতে তার পেটের এক্স-রে করতেই হতবাক চিকিৎসকরা। দেখা যায় পেটের ভেতরের এক অদ্ভুত চিত্র। রোগীর পেটে হাজির রয়েছে লোহার পেরেক, নাট বল্টু, স্ক্রু, ছুরি ইত্যাদি এবং মজুত রয়েছে আরও অনেক কিছু। অর্থাৎ পেটের ভেতর একেবারে লোহা লক্করের দোকান খুলে বসেছে ওই ব্যাক্তি! লিথুনিয়ার (Lithuania) এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পেটে ভীষণ যন্ত্রণা নিয়ে লিথুনিয়ার ক্লাইপেডার বাল্টিক পোর্ট সিটি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। প্রথমে কি কারণে তার এমন মারাত্মক পেটে ব্যাথা সেটা ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। তারপর পেটের এক্স-রে করে দেখতেই হতভম্ব হয়ে যান তারা। দেখা যায়, ওই রোগীর পেটের ভেতরে রয়েছে একাধিক ধাতব বস্তু। এর পরেই আরো ভাল করে পরীক্ষা করে দেখার পর দেখা যায়, রোগীর পেটের মধ্যে উপস্থিত ধাতব পেরেক, ছুরি, বল্টু, স্ক্রু ইত্যাদি। এমনকি কোনো কোনো ধাতব বস্তুর দৈর্ঘ্য চার ইঞ্চির কাছাকাছি প্রায়। এরপরই তড়িঘড়ি ওই রোগীর পেটের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তির ছিল মারাত্মক মদে আসক্তি। কিন্তু ইদানিং সে মদ খাওয়া ছেড়ে অন্য অভ্যাস শুরু করেন। অভ্যাসটি শুনলে আশ্চর্যই অনুভূত হবে সেটি হল ধাতব বস্তু খাওয়া শুরু করা। ধাতব বস্তু খাওয়া এরপর তার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু বেশিদিন এই অভ্যাস চালিয়ে যেতে পারেননি। কিছুদিন যেতেই পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হতে হল ওই ব্যক্তিকে।
ওই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে আরো জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তির পাকস্থলি থেকে সমস্ত পেরেক, স্ক্রু, ছুরিগুলি বের করে আনতে অস্ত্রোপচার চালাতে হয়েছে প্রায় তিনঘণ্টা। রোগীর অস্ত্রোপচার করে দেখা যায় সেগুলির সম্মিলিত ওজন ১ কেজিরও বেশি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই ব্যাক্তি গত একমাস ধরে এই ধাতব বস্তু ভক্ষণ করে গিয়েছেন। তবে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে সুস্থই রয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের আজব বস্তু খেয়ে ফেলার ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকী এই শহর কলকাতার বুকেও এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে।