গত দেড় বছর ধরে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। প্রথম , দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর এবারে তৃতীয় তরঙ্গের (Corona Virus Third Wave) চোখরাঙানির আগে আমাদের অনেকেরই হয়তো টিকা নেওয়া হয়ে গেছে ৷ আবার অনেকেই হয়ত এখনও পায়নি করোনা টিকা। কিন্তু টিকা নিলেও করোনা কে হারাতে বজায় রাখতে হবে দেহের ইমিউনিটি। কিন্তু তারপরও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা এমনই রাখতে হবে, যাতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে সঠিক ৷ দেহের ইমিউনিটি বাড়াতে দরকার আয়রনের। আর আমাদের চার পাশেই রয়েছে এমন অনেক সহজলভ্য আয়রনসমৃদ্ধ খাবার, যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট হয়।
পালংশাক:
আয়রনের উৎস হিসেবে পালংশাক অন্যতম সেরা খাবার বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে এই শাক ভীষণ কার্যকরী৷ আয়রন ছাড়াও এতে আছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস৷ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য পালংশাক অতুলনীয়।
ডুমুর :
ডুমুর অতি সল্প মূল্যে আয়রনসমৃদ্ধ একটি ফল ৷ দেহে আয়রনের অভাব দূর করতে এর তুলনা নেই ৷ ডায়েটে নিয়মিত রাখুন ডুমুর ৷
ডাল:
বাঙালির রোজকার খাবারে পাতে পরে ডাল। ডালের রয়েছে বহু গুণ ৷ অন্যান্য খনিজ , প্রোটিন ছাড়াও ডালে রয়েছে প্রচুর আয়রন ৷ রান্না করা এক কাপ ডালে ৬ মিলিগ্রাম অবধি আয়রন পাওয়া যেতে পারে। যা আমাদের দেহের দৈনিক আয়রনের প্রয়োজনের ৩৭% ৷
সয়াবিন:
সয়াবিন আয়রনে সমৃদ্ধ ৷ ১০০ গ্রাম রান্না না করা সয়াবিনে থাকে ১৫.৭ মিলিগ্রাম অবধি আয়রন৷ সয়াবিন সহজ পাচ্চ্যও৷ চেষ্টা করুন প্রতি সপ্তাহে ২-৩, বার সয়াবিন খাওয়ার৷
আলু:
বাঙালি রান্নায়, ঝোলে, তরকারীতে আলু অপরিহার্য৷ আলুতেও রয়েছে প্রচুর আয়রন৷ একটি আলু যোগান দেয় ৩.২ মিলিগ্রাম অবধি আয়রনের৷ সেইসঙ্গে আলুতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, বি-সিক্স (Vitamin B6) এবং পটাশিয়ামেও।
খেজুর ও কিশমিশ:
রোজ ২-৩ তে খেজুর আর কয়েকটি কিশমিশ খান। রক্ত পরিষ্কার করা ছাড়াও শরীরে অভাব হবে না আয়রনের।