ইসলামিক দেশ ইরান। কিন্তু সেই দেশে যুবকরাই যেন আর বিয়েতে আগ্রহী নয়। ভাঙ্গছে বিয়ে , বাড়ছে বিচ্ছেদ এবং গর্ভপাতও। অথচ ইসলামের শিক্ষায় বলে বিয়ে এবং সন্তান অত্যন্ত পুণ্যের কাজ। এহেন অবস্থায় চিন্তায় সেই দেশের জ্ঞানী গুণীরা।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশ ইরানে যেন পড়েছে শয়তানের বিষদৃষ্টিতে। এমনটাই মনে করছে ইরানের তেবিয়ান কালচারাল ইনস্টিটিউটের (Tebyan Cultural Institute) প্রধান কোমেইল কোজাস্তেহ (Komeil Khojasteh)। তাই তারা এনেছে নতুন এই অ্যাপ যার নাম হামদম (Hamdam)। হামদম শব্দের অর্থ হচ্ছে সঙ্গী।
তেবিয়ান কালচারাল ইনস্টিটিউটের প্রধান জানিয়েছেন বিবাহে আগ্রহী যুবককে একজন সঠিক স্ত্রী খুজে দিয়ে তাদের বানানো এই অ্যাপটি তৈরি করবে একটা সুস্থ পারিবারিক মূল্যবোধ । তিনি আরও জানিয়েছেন যে দেশের ইসলামিক সংস্কৃতি যেন হ্রাস পেয়েছে! বিবাহ নামের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটিকে আর ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না দেশের যুবক সম্প্রদায়, প্রচুর সংখ্যক বিয়েও ভাঙছে ইরানে।
তার সাথে সাথেই বেড়েছে গর্ভপাতের সংখ্যা, সন্তানের দায়িত্ব নিতেও অনেক বিবাহিত দম্পতি আর ইচ্ছুক নয়। এর ফলে দ্রুত ইরান পরিনত হবে বয়স্কদের দেশে। এহেন রাষ্ট্রীয় সমস্যার মোকাবিলায় তাই এই পদক্ষেপ নিল সরকার। তেবিয়ান কালচারাল ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় সরকারের তরফেই, ইরান নিয়ে এলো বিশ্বের প্রথম সরকার দ্বারা স্বীকৃত এবং সেই দেশের একমাত্র বৈধ ডেটিং অ্যাপ হামদম।কি ভাবে কাজ করবে এই ডেটিং অ্যাপ হামদান?
দাবি করা হচ্ছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা artificial intelligence প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অ্যাপ ব্যাবহারকারীদের মধ্যে স্থায়ী ভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরীর মনস্তত্ত্ব রয়েছে অবিবাহিত পুরুষদের জন্য খুজে দেবে সঠিক জীবনসঙ্গী। এই অ্যাপের মাধ্যমে এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানে নারী এবং পুরুষ একসাথে বিয়ে করার জন্য পরস্পরের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাবেন। তাঁদের পরিবারের কাছেও এই তথ্য সরবরাহ করবে সরকার।
পরিবারে বিয়ের সম্মতি এলে ওই দুই অ্যাপ ব্যাবহারকারীর সঙ্গে যুক্ত হবেন সরকারি উপদেষ্টারা। বিয়ের চার বছর পর্যন্ত সেই উপদেষ্টারা যোগাযোগ রাখবেন ওই দুই পরিবারের সঙ্গে। ডেট করা নয় এই অ্যাপের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিয়ে দেওয়া।