বিয়ে বাড়ির ঘিরে করা হয়েছিল অতিথিদের অভ্যর্থনায় প্রচুর আয়োজন। মাছ, মাংস, মিষ্টি আরও না জানি কত কি ছিল মেনুতে। একাধিক এলাহী আয়োজন করা হয়েছিল অতিথিদের জন্য। কিন্তু হঠাৎই সব অভ্যর্থনা খাতির ছেড়ে ছুড়ে দৌড়ে ছুটে পালালেন নিমন্ত্রিতরা। কিন্তু কেন?এমনটাই ঘটেছে বাংলাদেশের চরমোক্তারপাড়া নামের একটি স্থানে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ।
প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। এই কারণে চলছে কড়া লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরোতে পারবেন না, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন সূত্রে। আগেরবারের থেকেও এবারে লকডাউন বিধি আরও কড়াভাবে মেনে চলতে হবে এমনটাই সরকারী নিষেধাজ্ঞা।
এমন অবস্থায় যে কোনো জমায়েত, সামাজিক অনুষ্ঠান, এমনকি বিয়ে ঘিরে জমায়েতের উপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে বাংলাদেশের শহিদুল ইসলাম আয়োজন করেন তার মেয়ের বিয়ের। তার আগে রবিবার সন্ধ্যায় বিয়ের আগের দিন নিজের বাড়িতে জমকালো করে মেয়ের হলুদ সন্ধ্যারও আয়োজন করেন তিনি।
পরদিন সোমবার বাংলাদেশের এই কঠোর লকডাউনের মাঝেই প্রায় ২০০ জন আমন্ত্রিতের খাবারের আয়োজন সহ মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু করেন। আর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে বরপক্ষের আত্মীয় স্বজনদের কোনো প্রকার করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই খাওয়া-দাওয়া ও হৈ হুল্লোড় -এ মাতেন। তবে ছবিটা পাল্টে যায় গোপন খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছতেই।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে পৌঁছয় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব উল আহসান। তারা বয়ে বাড়িতে উপস্থিত হওয়া মাত্রই দৌড় লাগান বরযাত্রীরা। খাওয়া দাওয়া ফেলে ছুটে পালালেন নিমন্ত্রিত অথিতিরা।
পাশাপাশি করোনাকালীন সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনেই অনেক বেশি করে অতিথি ডেকে বিয়ের আয়োজন করায় বিয়ের কর্মকর্তাদের গুনতে হয় ৫ হাজার টাকা জরিমানা। বিয়ে বাড়ির আয়োজন করেছেন যারা তাদের জরিমানা ভরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন তরফে।