Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

বিদেশি পর্ণ দেখে অস্বাভাবিক সেক্স করতেন স্বামী! যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন স্ত্রী

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে স্বামীর বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক ভাবে সেক্স করা এবং বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা। এই ক্ষেত্রে স্ত্রী জানায়, তার স্বামী বিদেশি পর্ন ভিডিও দেখে তার সঙ্গে অস্বাভাবিক এবং নিষিদ্ধ যৌন সম্পর্ক (unusual sex) করতেন। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ীর অনান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা নারী। জানিয়ে রাখি, স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত স্বামীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি প্রতি মাসে ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত মধ্যপ্রদেশে এটি প্রথম মামলা যেখানে জেলা আদালত নির্যাতিতার পক্ষে রায় দিয়েছে।

2019 সালে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের হীরা নগর থানা এলাকায় বসবাসকারী এক মহিলা রাহুল নামে এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন। এই বিয়েতে উভয়ের পরিবারও রাজি হলেও বিয়ের পরই সমস্যা শুরু হয় ওই মহিলার সাথে। তার স্বামী রাহুল জোর করে তার সাথে অস্বাভাবিক ধরনের সেক্স করতে থাকে, যাতে ওই মহিলার অভিজ্ঞতা হয় যন্ত্রণাদায়ক। রাহুল প্রায়ই ঘোরাঘুরি করতে গোয়া যেতেন। সেখানকার বিদেশিদের লাইফ স্টাইলে আকৃষ্ট হয়ে স্ত্রীকে সেইভাবেই রাখা শুরু করেন। এরপর স্ত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক কষ্ট সহ্য করতে থাকে। এ সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও স্বামী অপ্রাকৃত যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। চিকিৎসক তাকে বিছানায় শুয়ে বিশ্রামের পরামর্শ দিলেও স্বামীর ওপর এই প্রেগন্যান্সির কোনো প্রভাব পড়েনি। গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও স্বামী তার সঙ্গে অন্যায়ভাবে নানা অস্বাভাবিক পদ্ধতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, যার জেরে স্ত্রী সাড়ে পাঁচ মাসের প্রি-ম্যাচিউর সন্তানের জন্ম দেন। তার পরের দিনই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী জানান, বিয়ের ১২ দিন পর থেকেই তার শাশুড়ি ও দেওর তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। শ্বশুরবাড়ি থেকে তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয় এবং না দেওয়ায় তাকে হয়রানি করতে থাকে। ওই মহিলা জানান, বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির লোক তার কাছ থেকে টাকা নেন। শাশুড়ি ও দেওর মিলে তার দেড় লাখ টাকা ট্রানস্ফার করিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগী মহিলা তার স্বামী, দেওর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হীরা নগর থানায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মামলা করেন। তারপর বিষয়টি ইন্দোর জেলা আদালতে পৌঁছলে মহিলাটি নিষিদ্ধ যৌনতা এবং গার্হস্থ্য হিংসার থেকে সুরক্ষা দাবি করেন।

ইন্দোর জেলা আদালতের নির্দেশে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন আধিকারিক বিষয়টির তদন্ত করেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলার অভিযোগ নিশ্চিত হওয়ার পরে, আদালত শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। দুই বছর ধরে চলা শুনানি শেষে আদালত স্বামীকে এক লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন ওই মহিলাকে। এ ছাড়া প্রতিমাসে ভরণপোষণ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা হারে ক্ষতিগ্রস্তকে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Related posts

শাপলা ফুলের মত উপকারী ফুল খুব কমই আছে! জেনে নিন এর আশ্চর্য গুনাগুন

News Desk

ভারতের চিকেন টিক্কা মশালা কিভাবে হয়ে উঠল ব্রিটিশদের জাতীয় খাদ্য! জানা আছে কাহিনী

News Desk

আগুনের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন, স্কুল বন্ধের দাবি ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলের

News Desk