কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। দেশ জুড়ে এখন অক্সিজেনের আকাল। এই অবস্থায় বহু মানুষের মনেই প্রশ্ন, বাড়িতে গাছ রাখলে কি বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে পারে? জেনে নিন আসল কথাটা।
বিজ্ঞান বলে সালোকসংশ্লেষণের দ্বারা গাছ নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করে। এবং এই সালোকসংশ্লেষণ চলা কালীন গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে আর অক্সিজেন ত্যাগ করে, এ কথা আমরা সকলেই বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছি। তবে সালোকসংশ্লেষণ-এর সময় গাছ যতটা অক্সিজেন উৎপাদন করে তা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে কয়েকটা জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন। যেমন যে গাছের বৃদ্ধি যত তাড়াতাড়ি, মানে যার বিএমআর (BMR) রেট বেশি, সেই গাছ তত বেশি পরিমানে অক্সিজেন তৈরি হবে। গাছের বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক পরিমাণে জল ও সূর্যের আলো দুইয়েরই প্রয়োজন। অনেক সময় আমাদের বাড়ির ভেতরে যেইখানে গাছ রাখা হয় সেই স্থানে যথেষ্ট পরিমাণ আলো ঢোকে না। অনেক সময় আমরা গাছের কতোটা প্রয়োজন সেই না বুঝেই বেশি জল দিয়ে ফেলি কিংবা কম অনেক কম জল দিই। তাতেও গাছের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। যার ফলে যথেষ্ট অক্সিজেন তৈরী হয় না।
কোন প্রজাতির গাছ বাড়িতে রাখবেন, সেই ঘটনার উপরও নির্ভর করে কতটা অক্সিজেন তৈরী হবে। স্নেক প্ল্যান্ট বা এরিকা পামের এই সমস্ত ধরনের গাছ ঘরের ভেতরে রাখার জন্য উপযুক্ত। এই সব গাছের যত্ন অনেক কম করতে হয় এবং অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম এই গাছগুলি।
অক্সিজেন উৎপাদনের পাশাপাশি গাছ রাখার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। বাড়িতে গাছ রাখলে আমাদের মনের ভেতরের অবসাদ অনেকটা কম হয়। তাতে মানসিক স্বাস্থ্যের ভাল থাকে। ঘরে গাছ রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকে। সারাক্ষণ এসি চালিয়ে না থেকে জানলা দরজা খুলে রাখতে বলছেন চিকিৎসকেরা। সেরকম ক্ষেত্রে ঘরে গাছ রাখলে ঘরের বাতাস অনেক ঠান্ডা থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা, গাছ রাখলে যে কোনও ঘরের কোণ আরও সুন্দর আর সজীব হয়ে উঠবে। যার সানিধ্যে মনও ভাল থাকবে।