ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রণ (Omicron) গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটিয়ে দিয়েছে। এমনটাই আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই আশঙ্কার মধ্যেই সামান্য হলেও সস্তির খবর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত করোনা সংক্রমনের রিপোর্টে।গতকালের তুলনায় দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের (Corona Daily Cases) সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত 24 ঘন্টায় দেশে 3,06,064টি করোনভাইরাস নতুন কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী। অবশ্য গতকালই 3 লাখ 33 হাজার করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল। আজ তার তুলনায় একটু কম দেশের করোনা কেস। দেশে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমার নামই নিচ্ছে না। গত 24 ঘন্টায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে 22,49,335 জন হয়েছে। এতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা মোট করোনা আক্রান্ত এর 5.69 শতাংশে পৌঁছেছে। গত কয়েকদিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গত 24 ঘণ্টায় দেশে 439 জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার সাথে সাথে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও দুই লাখের বেশি থাকছে প্রতিদিন প্রায়। গত 24 ঘন্টায়, 2,43,495 জন করোনা সংক্রমণকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে। এই নিয়ে দেশে মোট করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়ালো 3,68,04,145।
দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। দেশে দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে 20.75 শতাংশে। একই সময়ে, সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ও বেড়েছে। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট 17.03 শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
গত 24 ঘণ্টায় দেশে 14 লাখ 74 হাজার 753 জন পরীক্ষা দিয়েছেন, এরপর দেশে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 71 কোটি 69 লাখ। এছাড়াও, দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযানের অধীনে, এ পর্যন্ত 162.26 কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ওমিক্রণ ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে (Community Transmission Stage of Omicron In India)। এ কারণে হাসপাতাল ও আইসিইউতে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো শহরে ওমিক্রণ প্রজাতির গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এবং এইসব জায়গায় দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা।