ব্রিটেনের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিগত ৩৫ বছরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল ৪৮ জন রোগীর তরফে। এই যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ভারতীয় বংশোদ্ভুত চিকিৎসকের নাম কৃষ্ণ সিং। প্রচুর সংখ্যক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে গ্লাসগোতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত কৃষ্ণ সিংহ স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা বর্তমানে এবং সেখানকারই চিকিৎসক। স্কটল্যান্ড পুলিশ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৯৮৩ থেকে ২০১৮-র মধ্যে এই যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলি ঘটেছে। তার মধ্যে নর্থ লানার্কশায়ারে চিকিৎসকের চেম্বারে বেশির ভাগই। এ ছাড়াও তিনি যৌন হেনস্থা করেন হাসপাতাল, এমনকি রোগীদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসার সময়েও বলে অভিযোগ।
তার রোগীকে জোর পূর্বক চুম্বন করা থেকে শুরু করে অনুপযুক্ত আচরণ, অনুপযুক্ত ভাবে রোগীর শরীরে হাত দেওয়া, অপ্রয়োজনীয় অনুপযুক্ত পরীক্ষা করা সহ কৃষ্ণের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তবে এই সব অভিযোগই খণ্ডন করেছেন ৭২ বছর বয়সি সেই চিকিৎসক।
গ্লাসগো হাই কোর্টে পৌঁছেছে এই যৌন হেনস্থার মামলা। অ্যাঞ্জেলা গ্রে আভিযোগকারীদের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন,একটি দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল মহিলাদের যৌন হেনস্থা করা ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক সিংহের। তিনি বলেন, “ অপ্রত্যক্ষ ভাবে কখনও, কখনও সরাসরি যৌন হেনস্থা করতেন তিনি মহিলা রোগীদের।” সমস্ত অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন সিংহ। তাঁর আবার পাল্টা দাবি, মিথ্যা কথা বলছেন রোগীরা। তাঁদের যা যা শেখানো হয়েছে ভারতে ডাক্তারি প্রশিক্ষণের সময়, চিকিৎসা করতে গিয়ে সেটাই করেছেন। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে বলেও দাবি করেছেন সিংহ। কৃষ্ণ অভিযোগ করেছেন যে অভিযোগকারী রোগীরা একেবারে ফালতু কথা বলছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, প্রশ্ন উঠেছে তাঁর যে সকল পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে, ভারতে ডাক্তারি পড়ার সময় তা তিনি শিখেছিলেন। উল্লেখ্য, কৃষ্ণ স্থানীয় সমাজে বেশ গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন চিকিৎসক হিসেবে। অর্ডার অফ ব্রিটিশ এম্পায়ারের রয়্যাল মেম্বারও তাঁকে করা হয়েছিল।