করোনায় করাল ছোবলে যে সমস্ত হতভাগ্য শিশু অনাথ হয়ে গিয়েছে তাদের সম্পূর্ন শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যর দায়িত্ব নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। আঠারো বছর বয়স থেকে মাসিক ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি ২৩ বছর বয়সে তাদের পেশাজনিত কারণে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবারে করোনার হানায় বিধ্বস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তও নিল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার কারণে যদি কোনো পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু হয় তাদের পরিবারকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রধানমন্ত্রী।
করোনার ভয়াল ছায়া পড়েছে গোটা দেশ জুড়ে। প্রতিদিন বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। বস্তুত ভারতে মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ড হচ্ছে। ছাড় পাচ্ছে না পরিবারের অল্প বয়স্করাও। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকেও কেড়ে নিচ্ছে করোনার থাবা। সেই ক্ষেত্রে পরিবারগুলো পরে যাচ্ছে অথৈ জলে। কীভাবে আগামী দিনে তাদের পরিবার চলবে তা নিয়ে দিশাহীন তাঁরা।
এবার সেই সমস্ত পরিবারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ফ্যামিলি পেনশনের ব্যবস্থা করবে। মূলত করোনায় মৃত উপার্জনশীল ব্যক্তির উপর আর্থিক ভাবে নির্ভর ছিলেন পরিবারের এমন সদস্যই এই ফ্যামিলি পেনশন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকার এমল্পয়িজ স্টেট ইনসিউরেন্স কর্পোরেশন পেনসন স্কিমের (employees state insurance corporation pension scheme) মাধ্যমে এই পেনশন ব্যবস্থা কে বলবৎ করা হবে। একজন উপর্জনরত শ্রমিকের গড় মজুরির ৯০ শতাংশ হারে এই ফ্যামিলি পেনশন মিলতে পারে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ এর ২৪শে মার্চ থেকে ২০২২ এর ২৪শে মার্চ পর্যন্ত এই ধরনের যে সব করোনার মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে বা হবে তার পরিপ্রেক্ষিতেই মিলবে পেনশন। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে এমনটাই বলা হচ্ছে। করোনা অতিমারি তে অসহায় পরিবারগুলির পাশে রয়েছে ভারত সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।