ভারতে কামসূত্রের জন্মভূমি হওয়া সত্ত্বেও এখানে যৌনতার সাথে লজ্জা, অপরাধবোধ এবং ভয় এই তিনটি শব্দ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু এই ভারতীয় দম্পতি নিজেদের ব্যবসা দিয়ে যৌনতার সাথে জড়িত এই ট্যাবু ভাঙতে চাইছেন। আর সেই কারণেই তাদের এই স্টার্টআপ ব্যবসা অন্য আর পাঁচটা ব্যবসার থেকে অনেকটাই আলাদা। কিসের ব্যবসা তাদের? আসলে মানুষের যৌনতার প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই অনুষ্কা এবং সাহিল গুপ্ত নামে এই দম্পতি অনলাইনে ‘প্রাপ্তবয়স্কদের খেলনা’ অর্থাৎ সেক্স টয়ের (Sex Toy Start Up) ব্যবসা করেন। এই নতুন স্টার্টআপ ‘সেক্স টয়’-এর সাথে যুক্ত লজ্জাকে দূরে রাখার জন্য প্রচলিত নানা যৌন নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। স্টার্টআপটির উদ্দেশ্য হল যৌনতা এবং ঘনিষ্ঠতার বিষয়ক লজ্জা দূর করা এবং যৌনতার চাহিদা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা, যা বর্তমানে প্রায়শই এই দেশে অশ্লীল বলে বিবেচিত হয়।
আমরা এখানে কথা বলছি মাই মিউজ (MyMuse) স্টার্টআপ সম্পর্কে। এটি অনুষ্কা এবং সাহিল গুপ্তা শুরু করেছেন। স্টার্টআপটি তার মজাদার বিপণন এবং নানান ক্রিয়েটিভ পাঞ্চ লাইন এর সাথে সমাজের চলে আসা তথাকথিত যৌন নিষেধাজ্ঞার কে মোকাবিলা করছে। আনুশকা এবং সাহিল বলেছেন যে এটি তাদের তৈরি সেক্সটয়ের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে তৈরি হওয়া ভয় কম করে এবং প্রথমবারের জন্য যারা সেক্সটয় কিনছেন সেইসব ক্রেতাদের উত্সাহিতও করে৷
তারা কিভাবে ক্রেতাদের মজাদার ভাবে সেক্সটয় কিনতে উৎসাহিত করে সেই বিষয়ে একটা ছোট্ট উদাহরণ দেওয়া যাক। গতবছর দিওয়ালির আগ দিয়ে তাদের একটি বিজ্ঞাপন এসেছিল। যেটিতে লেখা ছিল “দিওয়ালি আসছে, এবং আপনার উচিত নিজের বেডরুমের জন্যও কিছু পটকা কেনা।” গত বছর, ভারতের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবের ছুটির আগে ফেসবুকে একই রকম একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল। যা নেটিজনদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছিল।
লকডাউনে শুরু হওয়া এই স্টার্টআপটি এখন Instagram-এ বেশ পরিচিত। শুধু তাই নয় টিন্ডার, বাম্বেল ইত্যাদি ডেটিং অ্যাপ গুলো মাই মিউজ এর সাথে যৌনতা নিয়ে ট্যাবু ভাঙার এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে। এই দম্পতির চান নতুন জেনারেশন যেন যৌনতা সম্পর্কিত ট্যাবু আর ছুতমার্গ কে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসে।