জামের ভূমিকা মধুমেহ রোগ নিয়ন্ত্রণে অপরিসীম৷ জামের বীজে জ্যাম্বোলিন এবং জ্যাম্বোসাইন থাকে৷ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে এই দুই উপাদানের ফলে৷ পাশাপাশি ইনসুলিন উৎপাদনও বৃদ্ধি পায় শরীরে৷
জামের বীজ জুড়িহীন পেটের অসুখ সারাতেও৷ জামের শাঁস ও খোসা ফাইবারে সমৃদ্ধ বীজ ছাড়াও৷ ফলে পরিপাক ক্রিয়া জামের প্রভাবে ভাল হয়৷ জামের বীজ ব্যবহৃত হয় আয়ুর্বেদিক ওষুধের উপাদান হিসেবে আলসার-সহ ক্ষুদ্রান্তের অন্যান্য সমস্যায়৷
মধুমেহর মতো আজকের নাগরিক জীবনে হাইপারটেনশন হল আরও একটি অতি পরিচিত অসুখ ৷ এই অসুখেও কার্যকরী জাম এবং এর বীজ৷
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে, জামে থাকা ফ্ল্যাভোনোয়েডস এবং ফেনোলিক যৌগ৷ এই ফল ফলপ্রসূ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও৷
বর্ষাকালে বিটনুন মাখা কালোজামের স্বাদ স্বর্গীয়৷ এর বীজ নানাভাবে খাওয়া যায়৷ জলের সঙ্গে গুঁড়ো করে মিশিয়ে খাওয়া যায় ৷ এই গুঁড়ো স্মুদি বা অন্য খাবারের উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়৷ জাম ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন খাওয়ার পর এর বীজ ফেলে না দিয়ে৷ তার পর গুঁড়ো করে নিন রোদে শুকিয়ে৷ বহুদিন ব্যবহার করতে পারবেন এয়ারটাইট কৌটোতে রেখে দিলে৷