গত এপ্রিল থেকেই হু হু করে দেশজুড়ে ছড়িয়েছে সংক্রমণ করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায়। সেই সঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি, হাসপাতালে বেড়েছে উদ্বেগ বেডের অভাবের মতো কারণেও। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যে নদী দিয়ে ভেসে যাওয়া মৃতদেহের সারি ঘিরে। এবার আমেরিকা (US) ও ব্রাজিলের (Brazil) পরে বিশ্বের মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়াল তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারতে।
যদিও এই মুহূর্তে দেশের করোনা গ্রাফ আশাপ্রদ কিছুটা। কমেছে দৈনিক মৃত্যুহার। সুস্থতার হার বেড়েছে। তবুও দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আগেই ৩ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। এবার সেই গণ্ডি পেরিয়ে গিয়ে আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরে দুঃখজনক ভারত এক নজির তৈরি করল। রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেবে বলছে এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ লক্ষ ২ হাজার ৭৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ২ কোটি ৬৭ লক্ষের কিছু বেশি মোট আক্রান্তের সংখ্যা। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ২ কোটি ৩৬ লক্ষের সামান্য বেশি।
মনে করা হচ্ছে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে রাশ টানা গিয়েছে, কড়া বিধিনিষেধ, এলাকাভিত্তিক লকডাউন, সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং টিকাকরণ ও টেস্টিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির মতো সার্বিক প্রচেষ্টার সুফল ফলেছে বলেই। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহ পরিস্থিতির ধাক্কা মোট আক্রান্তের সংখ্যা কিংবা মৃতের সংখ্যার পরিসংখ্যানকে ভীতিপ্রদ করে রেখেছে এখনও।
প্রসঙ্গত, এর আগে একমাত্র আমেরিকা ও ব্রাজিলে ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যে অনেকটা সামলে নিয়েছে পরিস্থিতি আমেরিকা। সেদেশে টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বিরাট সংখ্যক মানুষের। অনেকটা রাশ টানা সম্ভব হয়েছে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বা মৃতের পরিসংখ্যানে। যে কারণে আর বাধ্যতামূলক করতে চাইছে না বিডেন প্রশাসন মাস্ক পরাকেও। তবু এখনও এক নম্বরে তারাই, করোনায় মোট মৃতের নিরিখে। এপর্যন্ত মারণ ভাইরাসের প্রকোপে সেদেশে ৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এখনও ভীতিপ্রদ ব্রাজিলের পরিস্থিতি। করোনায় মোট মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সেখানে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ২০৮ জন।