বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য বড় বড় ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সমাবেশকে দায়ী করেছিল আগেই ভারতে । এবার আইসিএমআরের গবেষকদের গলায় সেই একই সুর শোনা গেল। তাঁরা বলছেন, ভারতে করোনার নতুন প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ার পিছনে কাজ করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াত ও বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে । একটি নিজস্ব সমীক্ষায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চের এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানানো হয়েছে।
করোনার নতুন এই স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াত ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি থেকে ICMR-এর গবেষণায় উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারি ওই সংস্থার এক সূত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “ভাইরাসের নতুন প্রজাতি এনেছিলেন বিদেশিরা এ দেশে। দেশের মানুষের শরীরে সেই থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারপর একাধিক ধর্মীয় জমায়েত এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের দ্রুত অবস্থান বদলের কারণে তা ছড়িয়ে পড়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পরিযায়ী সমস্যাই হোক, আর ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়াই হোক, কেন্দ্র সরকার কি এসবের দায় এড়াতে পারে?
প্রসঙ্গত, করোনার B.1.617 স্ট্রেন। প্রথম ভারতেই যার সন্ধান মিলেছিল। সেই স্ট্রেনটিকে ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘গোটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক’ হিসেবে দেগে দিয়েছে। WHO’র তরফে ভারতের এই স্ট্রেন অর্থাৎ করোনার B.1.617 স্ট্রেনকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে গোটা বিশ্বের জন্য। WHO’র তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবর মাসে ভারতে B.1.617 স্ট্রেনের হদিশ প্রথম মিলেছিল। মারণ ভাইরাসটির এই অতি সংক্রামক প্রজাতি। দ্রুত ছড়াতে পারে এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে। আইসিএমআরের গবেষণায় আবার পাওয়া গিয়েছে করোনার এই স্ট্রেনটির পাশাপাশি B.1.351 এবং E484Q যা কিনা ডবল মিউট্যান্ট হিসেবে পরিচিত, সবকটি স্ট্রেনই ভারতে প্রথম পাওয়া গিয়েছে ২০২০ সালের শেষের দিকে। কিন্তু তারপর পরিযায়ী শ্রমিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।