বৃহৎ বিশ্বের চতুর্দিকে কতই না ঘটনা ঘটে চলে। যেগুলো শুনলে সাধারণ মানুষের চমকে ওঠার কথা। কত ভয়াবহ কাজ যে ঘটে চলেছে আমাদের চোখের আড়ালে আমরা হয়তো সব সময় তা জানতেও পারিনা। কখনো কখনো এমন এক একটি ঘটনা সামনে এলে শিউরে উঠি শুনে। কিছুদিন আগে এমন একটি ঘটনার বিষয়ে সকলের সামনে এসেছে। যা সকলকে চমকে দিয়েছে। আফ্রিকার এক দেশে একটি কারখানায় চলছে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ব্যবসা।
ব্যাপারটা ঠিক কি? কারখানা শুনলে প্রথমেই মাথায় আসে এমন একটি সংস্থা যেখানে কোন দ্রব্য উৎপাদন হয় বিক্রির জন্য। কিন্তু বিক্রির জন্য হলেও আফ্রিকার নাইজেরিয়ার এই কারখানায় কোন দ্রব্য প্রস্তুত হয় না, তৈরি হয় সদ্যোজাত বাচ্চা। নাইজেরিয়ার এমন একটি খবর সারা বিশ্বে আলোচিত হচ্ছে (Viral News of Nigeria)! যেখানে গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চা প্রসব করানোর মত নক্কারজনক কাজ চলছে। এই কারখানার নাম রাখা হয়েছে বেবি ফার্মিং (Baby Farming)। এই কারখানায় অল্প বয়সী আফ্রিকান মেয়ে আরো অন্যান্য দেশের অল্প বয়সী মেয়েদের বলপূর্বক গর্ভবতী করা হয় এবং তাদের বাধ্য করা হয় বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য। সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যজনক ঘটনা হচ্ছে যথেষ্ট কম বয়সি এমনকি ১৩, ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের ও মা বানিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি এই লজ্জাজনক ঘটনার কথা সামনে এসে নাইজেরিয়া থেকে।
কিন্তু এই কাজ করে লাভ কি? জানা গেছে এদের ক্রেতা হচ্ছেন নিঃসন্তান দম্পতিরা। গর্ভবতী মেয়েদের প্রসব করা সন্তানদের এই সমস্ত নিঃসন্তান দম্পতির কাছে মোটা টাকায় বিক্রি করা হয়। অনেক সময় শুধু টাকা পাওয়া যাবে বলে অনেক মেয়ে এই ধরনের কাজে রাজি হয়ে যায়। আবার অনেক মেয়েকে অন্য কোন কাজের লোভ দেখিয়ে ধরে এনে এই কাজে নিযুক্ত করা হয়। মোটা মুনাফার বিনিময়ে বিক্রি করা হয় সদ্যোজাত শিশুদের।
এই জাতীয় ব্যবসা শুধু আফ্রিকার নাইজেরিয়াতেই নয়, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন সহ আরো নানা দেশেও বহাল তবিয়তে চলছে। হাসপাতাল, অনাথ আশ্রম ইত্যাদি নানা জায়গায় আড়ালে আবডালে চালানো হচ্ছে ধরনের ব্যবসা। তবে নাইজেরিয়াতে এখনই ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। গার্ডিয়ান এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১১ সালে একবার সুরক্ষা কর্মীরা প্রায় ৩২ জন গর্ভবতী মেয়েকে উদ্ধার করেছিল। যাদের এমন কারখানায় গায়ের জোরে গর্ভবতী করা হয়েছিল। এদের প্রত্যেকের বয়স ছিল ১৪ থেকে ১৬ এর মধ্যে।