Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

ঋণ পরিশোধের আগেই ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে টাকা পরিশোধ করতে হবে কাকে? জানুন নিয়ম

ঋণ নেওয়া এবং সময়মতো তা পরিশোধ করা একটি বড় দায়িত্ব। এই কাজটি সুনির্দিষ্ট কৌশল এবং সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে করা হয়। এতে যারা ব্যর্থ হয়, তারা বিশাল ঋণের জালের জটিলতায় পড়ে যায়। এমতাবস্থায় ব্যাংক ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কারণ ঋণের চুক্তি পত্রের কাগজে এটি লেখা থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন জাগে যে ঋণের টাকা পরিশোধ করার আগেই যদি ঋণগ্রহীতা মারা যায়, তাহলে সেই টাকা কে পরিশোধ করবে? উত্তর হল ঋণগ্রহীতার সহ-ঋণগ্রহীতা, গ্যারান্টার বা আইনগত উত্তরাধিকারী। এজন্যই বলা হয় যে, খুব সতর্কতার সাথে বিবেচনা করেই একজনের ঋণের জামিনদার হওয়া উচিত।

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে ঋণের পাওনাদার সময়ে সময়ে জামিনদার, আইনি উত্তরাধিকারী বা সহ-ঋণগ্রহীতার নাম পরিবর্তন করতে পারেন। গ্যারান্টারও চাইলে তিনি নিজে ব্যাংকে গিয়ে তাতে পরিবর্তনের আবেদন করতে পারেন। তবে ব্যক্তিগত ঋণে রয়েছে বিশাল ছাড়। যেহেতু এই ঋণটি অনিরাপদ শ্রেণীতে আসে, তাই ঋণ পরিশোধের আগে ঋণ গ্রহীতা মারা গেলে আইনি উত্তরাধিকারী বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধার করা হয় না।

ব্যক্তিগত ঋণ মওকুফ

ব্যক্তিগত ঋণের মতো ঋণে কোনো জামানত অর্থাৎ গারান্টার নেওয়া হয় না, তাই ব্যাংক ঋণ গ্রহীতার কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে না। শেষ পর্যন্ত, এই ধরনের ঋণের পরিমাণ মাফ করা হয় এবং ব্যাঙ্ক তা NPA অ্যাকাউন্টে রাখে। যদি একজন যৌথ ধারকও সেই পাওনাদারের সাথে ঋণের কাগজে আবেদন করে থাকে, অর্থাৎ দুইজন একসাথে ঋণ নিয়ে থাকে, তাহলে প্রথম পাওনাদারের মৃত্যুর পর ব্যাঙ্ক দ্বিতীয়জনের থেকে টাকা আদায় করে। একই নিয়ম ক্রেডিট কার্ড ঋণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ব্যক্তিগত ঋণ বীমা

আজকাল বেশিরভাগ অসুরক্ষিত ঋণ যেমন ব্যক্তিগত ঋণ বীমা সহ আসে। এতে প্রাথমিক ঋণগ্রহীতার (প্রথম পাওনাদার) বীমা করা হয়। বীমা কভার ঋণের সম্পূর্ণ পরিশোধের মেয়াদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে যদি ঋণগ্রহীতার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তবে তার ঋণ মাফ হয়ে যায়। এতে যা হয় তা হলো, যে বীমা কোম্পানি থেকে ঋণের বীমা করা হয় তার কাছ থেকে ব্যাংক ঋণের টাকা নেয়। এই বীমার অর্থ ঋণগ্রহীতাকে পূরণ করতে হয়, যা প্রায়শই একযোগে পরিশোধ করা হয়।

ঋণগ্রহীতা মারা গেলে কি হবে

যদি প্রথম ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ না করে মারা হয়ে যায়, তাহলে ব্যাঙ্ক প্রথমে সহ-আবেদনকারীকে ধরে। যদি সহ-আবেদনকারী ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে ব্যাঙ্ক পরিবারের সদস্য, আইনি উত্তরাধিকারী বা গ্যারান্টারের সাথে যোগাযোগ করে। যদি এই ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ ঋণ পরিশোধ করতে সম্মত হন, তবে ব্যাংক তাদের দখলকৃত সম্পত্তি তার মালিককে ফেরত দেয়। ঋণ পরিশোধে কেউ প্রস্তুত না হলে ব্যাংক সম্পত্তি জব্দ করে এবং বিক্রি করে ঋণ আদায় করে।

Related posts

মোবাইল নম্বর বা UPI নেই? আধার নম্বর ব্যাবহার করেই পাঠানো যাবে টাকা, জানুন পদ্ধতি?

News Desk

শুধু দাঁত মাজতেই নয়, গৃহস্থালীর নানা কাজে ম্যাজিকের মত কাজ করে টুথপেষ্ট! পড়ুন টিপস্

News Desk

অসফলতা কাটিয়ে ধনী হতে চান! নিশ্চিত সাফল্যের জন্যে আজ থেকে এই ৫ টি অভ্যাস ত্যাগ করুন

News Desk