নাম বা ধর্ম পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে। ফের উত্তরপ্রদেশের সঙ্গম শহর প্রয়াগরাজে লাভ জিহাদের একটি ঘটনা ঘিরে সরগরম। এখানে একটি মুসলিম ছেলে তার ধর্ম লুকিয়ে এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছে। পরে মেয়েটিকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে থাকে ওই ব্যক্তি। মেয়েটি তা করতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তথ্যমতে, শহরের নৈনি এলাকায় বসবাসকারী ২২ বছর বয়সী এক তরুণী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ২০১৬ সালে, ফেসবুকের মাধ্যমে তার একটি ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয়। ছেলেটি তার নাম সুরেশ পাল বলে জানায় এবং সে একটি ফাইন্যান্স কোম্পানিতে চাকরি করে। তিনি জানান, তিনি কারেলী এলাকার বাসিন্দা। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এরপর মনকামেশ্বর মন্দিরে দুজনের বিয়ে হয়।
সুরেশ পাল মেয়েটিকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের কুড়ি দিন পর ওই যুবক তরুণীকে জানায়, তার নাম সুরেশ নয়, মহম্মদ শামি ওরফে মহম্মদ জুবায়ের। একথা শুনে মেয়েটির পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। মেয়েটির অভিযোগ, ছেলেটি তাকে ক্রমাগত ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে থাকে। রাজি না হলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করেনি:
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে খুলদাবাদ থানায় পৌঁছয় নির্যাতিতা তরুণী। পুলিশ সদস্যরা প্রথমে এফআইআর নথিভুক্ত করতে নারাজ ছিল, কিন্তু কিছু বিজেপি কর্মী এই বিষয়ে জানতে পেরে, তারা পুলিশকে রিপোর্ট নথিভুক্ত করার দাবি জানায়। পরে পুলিশ মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলছে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন আছে।