মধ্যপ্রদেশের রেওয়াতে নরবলির এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। পুত্র সন্তানের মানত পূরণ হতে যুবককে বলি দিলেন তিন কন্যার জনক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে বলে সূত্রে খবর।
ঘটনাটি রেওয়া জেলার বৈকুণ্ঠপুর থানার অন্তর্গত বেধউয়া গ্রামের। গত ৬ জুলাই প্রাচীন ফুলমতি মাতা মন্দিরের দরজায় এক যুবকের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। পেছন থেকে গলায় কুড়াল দিয়ে খুন করা হয় এই যুবককে। সকালে গ্রামের লোকজন মন্দিরে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে,
খবর পেয়ে বৈকুণ্ঠপুর থানার পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দেয়। সিরমাউর এসডিওপি নবীন তিওয়ারি তার এফএসএল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড দল নিয়ে সেখানে পৌঁছয়। তদন্তকালে ঘটনাস্থল থেকে একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরনে কালো জিন্স প্যান্ট ও লাশের পাশে শার্ট পড়ে থাকতে দেখা যায়। তদন্তের জন্য ফরেনসিক দল ও সাইবার সেলেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ একটি খুনের মামলা দায়ের করে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে নিহতের নাম দিব্যাংশ কোল, সে কিয়োটি গ্রামের ১৮ বছর বয়সী এক যুবক। তদন্ত করে জানা যায়, এটি একটি নরবলির ঘটনা।
এসডিওপি নবীন তিওয়ারি জানান, ৩২ বছর বয়সী রামলাল প্রজাপতি ব্রত পূরণে মানব বলি দিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত রামলাল পুলিশকে জানায়, তার তিনটি মেয়ে রয়েছে। তিনি দেবীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তাঁর পুত্র হলে তিনি মানব বলি দেবেন। ঘরে তিন কন্যার পর পুত্রের জন্ম হলে তার মানত অনুযায়ী বলি দিতে তিনি একটি ছেলে খুঁজছিলেন।
ঘটনার দিন ওই যুবক ছাগল চরাতে গিয়েছিল। তাকে নির্জন স্থানে দেখে সে যুবকটিকে তার সাথে বেধুয়া গ্রামে অবস্থিত দেবী মন্দিরে নিয়ে আসে এবং কুড়াল দিয়ে গলা কেটে আত্মাহুতি দেয়। পরে সে পলাতক হয়ে যায়। অভিযুক্ত গ্রামে তন্ত্র-মন্ত্র ও ভূত-প্রতারণাও করে। এর আগেও তিনি মন্দিরে হাত কেটে রক্ত দিয়েছেন। ঘটনার পিছনে অন্য কারণ আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে।