কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঝোপ থেকে বেরোচ্ছে! দুর্গাপুর এহেন আজব কাণ্ডের সাক্ষী হল। ঠিক কী হয়েছিল? সাফাই করতে গিয়ে সোমবার সকালে দুর্গাপুরের সি-জোন এলাকায় উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। এ দিন বিষয়টি ১০০দিনের কর্মীদের চোখে পড়েছিল। এরপর প্রচুর ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট তাঁরা ওই ঝোপে হাত দিতেই বেরতে থাকে। এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার পুলিশ পৌঁছয়। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই এলাকা থেকে, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে সবকটি পুরনো নোটই। অর্থাৎ আগের সময়কার নোটবন্দির। এত নোট পড়ে থাকতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়।
কোথা থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ এল, এ নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬-র ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। দুর্নীতি ও কালো টাকা দমনে প্রধানমন্ত্রী, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তখনকার সময়ে চালু থাকা ৫০০ ও হাজার টাকার নোটকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ৫০০ ও হাজার টাকার নোট প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় রাতারাতি কাগজের টুকরোয় পরিণত হয়। ভুরিভুরি বাতিল পাঁচশো টাকার নোটের দেখা মিলল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের সিজোন এলাকায় প্রায় পাঁচ বছর। সেখানে পড়েছিল গুচ্ছ গুচ্ছ বাতিল ৫০০ টাকার নোট।
দুর্গাপুর পুরসভার সাফাই কর্মী অনিতা বাউরি বলেছেন, আমরা পরিষ্কারের কাজ করছিলাম। দেখতে পেলাম নোট পড়ে আছে। কিছু কাটা নোট, কিছু গোটা নোটও ছিল। তবে বলতে পারব না মোট কত টাকা। দুর্গাপুর পুরসভার সাফাই বিভাগের সুপারভাইজার ভূমি খান জানিয়েছেন, ঘটনার কথা শুনেই আমি কাউন্সিলরকে জানাই। কাউন্সিলর পুলিশকে জানান। প্রচুর নোট পড়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই কালীঘাট এলাকা থেকে প্রচুর ওরকম টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।সংলগ্ন এলাকা থেকেই ওই টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তবে সে ক্ষেত্রে টাকা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, বস্তায় ১০, ২০, ৫০,১০০ টাকার নোট ছিল।