বলিউডের সুপারস্টার তিনি। এশিয়ার সুদর্শন পুরুষদের তালিকায় প্রথম সারিতে যাঁর নাম। যাঁকে কিনা বলিউডের ‘গ্রীক গড’ বলেও ডাকা হয়। আর সেই হৃতিক রোশনকেই (Hrithik Roshan) কিনা চরম দারিদ্রের শিকার হতে হয়েছিল একসময়ে। এমনকী অর্থাভাবের জেরে মাদুরে শুয়েও রাত কাটাতে হয়েছে হৃতিককে। আজ সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করেও কিন্তু জীবনের সেই দুর্দিনগুলোর কথা ভুলে যাননি অভিনেতা। নিজমুখেই ভাগ করে নিলেন সেসব অজানা কথা।
হৃতিক তখন নেহাতই ছোট। ৯ বছর বয়স। বাবা রাকেশ রোশন তখন বলিউডে নিজের ফিল্মি কেরিয়ারের সঙ্গে যুঝে চলেছেন। খুব কষ্টে দিন গুজরান করতে হত তখন রোশন পরিবারকে। ঘরে আসবাব তো দূরঅস্ত, পরিবারের চার সদস্যের একসঙ্গে এক ছাদের তলায় মাথা গোঁজা-ই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছোট্ট ওই বাড়িতে। এদিকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো টাকাও ছিল না রাকেশের কাছে। একসময়ে হৃতিকের মা পিঙ্কি রোশন দুই সন্তানকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ও বাড়িতে তখন থাকতেন শুধু রাকেশ রোশন ও তাঁর মা।
পরে অবশ্য রাকেশ রোশনের ভাগ্যের চাকা ঘোরে। বলিউডে পসার জমান তিনি। নতুন বাড়িও কেনার টাকা জোগাড় করে ফেলেছিলেন। তবে আসবাব কেনার সাধ্য ছিল না। তাই ৯ বছর বয়সি হৃতিককে তখন মেঝেয় কখনও মাদুর আবার কখনও বা গদি পেতে শুতে হত। ২০১৬ সালে হৃতিক ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান সিমি গেরিওয়ালের টক শো-তে গিয়েছিলেন। সেখানেই অভিনেতা নিজের জীবনের এই চরম অর্থাভাবের কথা শেয়ার করেন।
আজ, ৬ সেপ্টেম্বর হৃতিকের বাবা তথা খ্যাতনামা বলিউড অভিনেতা-প্রযোজক তথা পরিচালক রাকেশ রোশনের জন্মদিন (Rakesh Roshan’s Birthday)। ৭২-এ পা দিলেন তিনি। জীবনে খুব কাছ থেকে যেমন অর্থাভাব দেখেছেন। কষ্ট করেছেন, তেমন শারীরিক-মানসিক দিক থেকেও যথেষ্ট কঠিন সময়ে পেরতে হয়েছে রাকেশকে। গলার ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। বর্তমানে সেরে উঠলেও কড়া নিয়মের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয় তাঁকে। বাবার সেই স্ট্রাগলের দিনগুলোর কথা আজও ভোলেননি হৃতিক রোশন।