গয়না বলতেই বেশিরভাগের কাছে প্রাধান্য পায় সোনা। আংটি বলতে সবাই সোনার আংটিই বুঝি। রুপোর আংটি হাতে পড়েন না সেই ভাবে কেউই। সোনার আংটিই সকলের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। তবে জানেন কি জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, শুধুমাত্র সাধারণ একটি রূপোর আংটি আপনার জীবন পুরো বদলে দিতে পারে। জ্যোতিষ মতে ভীষণ কার্যকরী একটি ধাতু হল রুপো। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী শিবের চোখ থেকে রুপোর উৎপত্তি। বৈদিক শাস্ত্র বলে, ধাতু হিসাবে রুপো সোনার থেকেও মূল্যবান ধাতু। জীবনের সমস্ত বাধা, বিপত্তি কাটিয়ে জীবনে আনতে পারে জাদুর মতন পরিবর্তন।
বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী এই ধাতু রুপো বৃহস্পতি, শুক্র আর চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রুপোর শরীরের সাথে যোগাযোগে থাকা আমাদের শরীরে জল ও শ্লেষ্মাকে পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখে। এই ধাতি সৌভাগ্য নিয়ে আসে এবং রুপোর উপস্থিতি জীবনে শান্তি ও সুখ বয়ে আনে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন রূপো বার করে দিতে সাহায্য করে।
শুক্র ও চন্দ্রের সঙ্গে ধাতু রুপো সম্পর্কযুক্ত। কোনও জাতকের কোষ্ঠিতে চন্দ্রের অবস্থান শুভ না থাকলে বা অশুভ গ্রহের সঙ্গে একসাথে বিরাজ করলে ডান হাতের কনিষ্ঠায় রুপোর আংটি ধারণ করে উচিত।
যাঁরা খুব সামান্যতেই রেগে যান বা টেনশন করেন অতিরিক্ত সে ক্ষেত্রে তারা যদি নিজেদের হাতের আঙুলে রুপোর আংটি ধারণ করেন মাথা অনেকটাই ঠান্ডা হয়। একজন ব্যক্তির মন-মস্তিষ্কের সাথে সরাসরি যুক্ত আছে চাঁদের অবস্থান। তাই যদি চন্দ্রের অবস্থান ঠিক না থাকে, তাহলে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের জন্য রুপোর আংটি বেশ কার্যকর।
সর্দি কাশি বা আর্থ্রাইটিস এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রুপোর চামচ ব্যবহার করে খেলে অনেক উপকার মেলে।
যদি আপনার জীবন পত্রিকায় চন্দ্রের অবস্থান দুর্বল হয় তাহলে কারুর কাছ থেকে উপহার হিসেবে রূপো নেওয়া এড়িয়ে চলুন। সেটি ধারণ করা শুভ নয়। তবে মায়ের কাছ থেকে যদি রূপো উপহার হিসাবে পান তা ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।
কিভাবে রুপোর আংটি ধারণ করবেন?
রবিবার বা বৃহস্পতিবার অলংকারের দোকান থেকে কিনুন। দোকান থেকে রুপোর আংটি কিনে সাথে সাথেই আঙুলে পরে ফেলবেন না। এটি পরার আগে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। এক পাত্র গঙ্গার জলে আংটিটি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পুজোর আসনে আংটি রেখে পুজো করুন নিত্যপুজো করুন। তারপর এর মধ্যে একটু চন্দন লাগিয়ে নিয়ে আঙুলে রুপোর আংটি পরিধান করুন।