শীত আসা মানেই বাজারে কমলালেবুর আগমন। আর শীতের সময়ের কমলা লেবু খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ দেখা যায় না। স্বাদে পুষ্টিতে ভরপুর কমলালেবু। ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ। কিন্তু অনেক সময়েই আমরা কমলালেবু খেয়ে খোসা ফেলে দিই। কিন্তু জানেন কি শুধু যে কমলালেবু গুনে পরিপূর্ণ তা নয়, কমলালেবুর খোসার গুণও নেহাত কম নয়।
শীত মানেই ত্বকে রুক্ষ ভাব। আমরা কতই না ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি ত্বকের শুষ্কতা কম করতে। অথচ নিষ্প্রাণ ত্বকের যত্ন নিতে কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার। তাই শীতকালীন ত্বকের সমস্যার সমাধান সহ স্বাস্থ্য এর এবং ঘরের বহু কাজে কি করে কাজে লাগাবেন কমলালেবুর খোসা জেনে নিন চট করে…
ত্বককে নরম আর পেলোব করে তুলতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্প নেই। ত্বকে প্রয়োজনীয় তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ত্বককে কোমল আর মসৃন রাখতে আর নরম রাখতে কমলালেবুর খোসার জুড়ি মেলা ভার। তবে কমলার খোসায় মজুত রয়েছে কিছু উৎসেচক তাই এটিকে সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা উচিৎ না। তাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের জন্য তাজা কমলালেবুর খোসার সঙ্গে মুসুরের ডাল এক সাথে বেটে নিন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে স্ক্রাব করে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক মসৃণ তো হবেই, মুখের দাগও থাকবে না।
রান্নায় কখনও কমলালেবুর খোসা ব্যাবহার করে দেখেছেন। রান্নায় দুর্দান্ত স্বাদ আর গন্ধ আসার পাশাপাশি শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করবে। বাড়তি কোনো কৃত্রিম ফ্লেভার দরকার পড়বে না, কেক,বিস্কুট ইত্যাদি তৈরির সময় ব্যবহার করতে পারেন কমলার খোসার হালকা জিস্ট। এর দ্বারা কেক কুকিজ এ যোগ হবে অসাধারণ স্বাদের একটি আলাদা মাত্রা।
আয়ু্র্বেদ বলে, কমলালেবুর খোসায় মজুত উপাদান তিক্ত হওয়ায়, এটি হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। গ্যাস, অ্যাসিড, বমি এবং অম্বলের ভাব কম করে। এমনকি খিদে বাড়াতে সক্ষম। লেবুর খোসার গুঁড়ো করে রেখে সেটি যাদের শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া, বা কফের সমস্যা বা অ্যাস্থমা আছে তাদের আরাম পেতে সাহায্য করে
ঘরের মধ্যের স্যাঁতসেঁতে ভাব ও গন্ধ দূর করার কাজেও দারুন উপযোগী কমলালেবুর খোসা। অল্প জলে দারুচিনির সঙ্গে কমলার খোসা দিয়ে ৫/৬ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। এই জলের মন মুগ্ধ করা গন্ধ আপনার ঘরের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ দূর করে মিষ্টি গন্ধে ঘর ভরিয়ে দেবে।