করোনা ও মাঙ্কিপক্সের তাণ্ডব এখনও থামেনি আর এরই মধ্যে টমেটো জ্বর বা টমেটো ফ্লু নামের নতুন একটি ভাইরাস মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। নানা সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে ভারতের কেরালা রাজ্যে ৮০ জনেরও বেশি মানুষের মধ্যে টমেটো জ্বরের ভাইরাস দেখা গিয়েছে। এটি একটি খুব বিরল ভাইরাস যাতে হাতে লাল ফোসকা দেখা যায়। একে টমেটো ফ্লুও বলা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আসুন জেনে নিই টমেটো জ্বর কী এবং এর লক্ষণ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থাই বা কী।
টমেটো জ্বর কি?
টমেটো জ্বর একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রভাবিত করে। এই ভাইরাল সংক্রমণের নাম টমেটো ফ্লু কারণ টমেটো ফ্লুতে আক্রান্ত হলে শিশুদের শরীরে টমেটোর মতো লাল ফুসকুড়ি হয় এবং এর কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হয়। এ ছাড়া এ রোগে আক্রান্ত হলে অসুস্থ শিশুটিরও প্রচণ্ড জ্বর হয়। যেসব শিশু টমেটো ফ্লুতে আক্রান্ত হয় তাদের শরীর ও জয়েন্টে তীব্র ব্যথার পাশাপাশি শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা হয়।
টমেটো ফ্লুর লক্ষণ-
এর প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ডিহাইড্রেশন, ত্বকে ফুসকুড়ি, ত্বকের জ্বালা বা চুলকানি। কিন্তু এছাড়া এই লক্ষণগুলোও এই ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর মধ্যেও দেখা যায়।
- শরীরে টমেটোর মতো ফুসকুড়ি ও ফুসকুড়ি।
- মাত্রাতিরিক্ত জ্বর।
- শরীর ও জয়েন্টে ব্যথা।
- জয়েন্টগুলোতে ফোলা।
- পেটে খিঁচুনি এবং ব্যথা।
- বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়া।
- কাশি, হাঁচি ও নাক দিয়ে জল পড়া।
- হাতের রঙ পরিবর্তন।
- শুষ্ক মুখ।
- শরীরে জলশূন্যতা।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি।
- চামড়ায় জ্বালা পোড়া।
টমেটো জ্বর প্রতিরোধ করা যেতে পারে কিভাবে?
এটি একটি বিরল ধরণের ফ্লু, তাই এটিতে আক্রান্ত শিশুদেরও ফ্লুর মতো চিকিত্সা দিতে হবে।
আপনি যদি উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখতে পান, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
সংক্রামিত শিশুকে ফুটানো পরিষ্কার জল দিন, যাতে সে হাইড্রেটেড থাকতে পারে।
ফোসকা বা ফুসকুড়িতে চুলকানি থেকে শিশুর প্রতিরোধ করুন।
ঘর এবং শিশুর চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিন।
গরম জল দিয়ে স্নান করুন।
আক্রান্ত শিশু থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও খাওয়ান।