পানীয় জল প্রচুর পরিমানে দূষিত হয়, যার ফলে দেখা যায় লোকের পেটে ব্যথা, বমি, পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হয়, যা আমাদের শয্যাশায়ী করতে পারে বর্ষাতে। এছাড়া জিভে জল আনা নানান মেনু বর্ষা মানেই।পকোড়া, চপ-সিঙাড়া। তেলেভাজা-মুড়ি। খিচুড়ি ইলিশ। খাচ্ছেন মন খুলে। কিন্তু বদহজম, পেট খারাপ, জ্বর বর্ষা মানে। বাঁচার উপায় কী?
এই সময় বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া দাওয়া আর পানীয়ের দিকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে জানা যায় এই সমস্যা এখন অনেকেই ভুক্তভোগী। মেনে চলতে হবে কিছু করণীয়। চলুন জেনে নেয়া যাক-
আপনার পানীয় জল ঠিক আছে কি না প্রথমেই খেয়াল রাখুন। আপনি যেখানে খাবার জল রাখেন, সেই পাত্রটি পরিষ্কার কি না খেয়াল রাখুন। চিকিৎসকরা বলছেন, অশুদ্ধ পানীয় জল (Drinking Water) কিন্তু পেটের রোগের মূল কারণ।
চিকিৎসকের মতে, পরিশুদ্ধ জল আর ওআরএস(ORS) খান বেশি করে। খেয়াল রাখবেন যেন আপনার শরীরে জলের ঘাটতি না হয়, নইলে ডায়রিয়া হতে পারে।
বর্ষায় পেট গরম হতে পারে বারবার গরম চা-কফি খাওয়ার জন্য। তাই পেট ঠান্ডা টক দই রাখতে খান। এতে প্রোবায়োটিক উপাদান আছে। দই পেটের ভাল জীবাণুদের কার্যকরী করে তোলে। হজমশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
মাছ বা অন্যান্য সমুদ্রের প্রাণীর প্রজননের সময় হল বর্ষা। এই ঋতুতে এই কারণেই মাছ খাওয়ার ফলে খাবারে বিষের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এছাড়া বর্ষাকালে মাছের গায়ে ময়লা জমে থাকে জলদূষণের কারণে। এই মাছ খাওয়া এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
স্ট্রেস-এর সরাসরি যোগ রয়েছে পেটের সমস্যার সঙ্গে। নাড়ির গতির সঙ্গে সঙ্গে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় অতিরিক্ত স্ট্রেস হলে। এতে বাড়তে পারে পেটের সমস্যা। স্ট্রেসমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন জীবনযাত্রায় হেরফের ঘটিয়ে।