বেড়ে যাচ্ছে ভুঁড়ি? আয়নার সামনে দাঁড়ালে, নিজেকে দেখতেও ইচ্ছে করছে না আয়নায়। চেহারার পেটের মেদ সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দিচ্ছে। মানাচ্ছে না জামাকাপড় পড়লেও। পেটের মেদ বাড়তে পারে হু হু করে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ভুল খাবারে পেট ভরানো, কায়িক শ্রম কম করা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ইত্যাদি কারণে। ভুঁড়ি কিংবা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতেও সময় লাগে না সঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে। নানা নানা অসুখবিসুখ ডেকে আনে।
তবে উপায় বেরয় ইচ্ছে থাকলেই। জিমে ছুটতে হয় না তার জন্য। বাজারচলতি ক্ষতিকর সাপ্লিমেন্ট খেতে হয় না মুঠো মুঠো। বরং এই ধরনের ভুঁড়ি খুব সহজেই কমিয়ে ফেলা সম্ভবকিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে। কী ভাবে সে সব পদ্ধতি শরীরের অযাচিত মেদ কমবে, রইল তার হদিশ বিপাকের হার বাড়িয়ে।
প্রচুর পরিমাণে জল: আরও বেশি করে জল পান করুন পেট ভার হয়ে থাকলেও। পেট ভার অবস্থায় জল পান করলে আপনার অস্বস্তি আরও বাড়বে আপনার মনে হতেই পারে, কিন্তু জল পানের ফল হয় তার উল্টোটাই। অতিরিক্ত জল পানের ফলে?পাচনতন্ত্রে আগে থেকে জমে থাকা জল অপসরণের কাজ শুরু করে দেয় এবং হজম তাড়াতাড়ি হয়। শরীর জলকে অকারণে জমিয়েও রাখে না শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয় না বলে।
প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য। মধু ও পাতিলেবু আদা ভেজানো জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে শরীর ডিটক্সিফাই় হয়ে যায় খুব সহজেই। বরং কফি বর্জন করুন স্ফীত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে। কফিতে থাকা ক্যাফিন ডিহাইড্রেশনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার শরীরে। সেই সঙ্গে শরীরে শর্করা এবং ক্যালোরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
কমিয়ে ফেলুন তৈলাক্ত খাবার। শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাট সংরক্ষণ করে কোল্ড ড্রিঙ্কস। এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি । তাহলে আপনার ওজন ও পেটের ভুড়ি কমিয়ে যাবে অবশ্যই।
এপশম লবণে স্নান করুন: এতে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম আছে। যা অতিরিক্ত জল বের করে দিতে সাহায্য করে শরীর থেকে। এবং শরীরের যে অতিরিক্ত জল ধরে রাখার প্রবণতা থাকে , এই লবণে স্নানের ফলে তাও দূর হয়ে যায়। স্ফীত পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নিয়মিত এই জলে স্নান করলে।
খাবারের মধ্যে দীর্ঘ বিরতি থাকা উচিত নয়:
দিনে পাঁচ বা ছয়বার হালকা খাবার খান দিনে তিনবার ভারী খাবারের পরিবর্তে। সঠিক নিয়মে খাদ্য অভ্যাস করুন, অল্প দিনে আপনার ওজন, পেটের ভুড়ি কমে যাবে।