করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বহু মানুষই প্রতিদিন অনেক ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ট্যাবলেটস নিচ্ছেন। কিন্তু এতে কি আদৌ কোনো লাভ হবে? কি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীর থেকে করোনার কে বিদায় করতে এই ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের (Vitamin Supplement) ঠিক কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ। বেশিরভাগ জায়গাতেই প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে দেখা গিয়েছে করোনার প্রকোপ। এছাড়া রাতারাতি শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে এবং আগামীতে করোনার হাত থেকে বাঁচতে মুঠো মুঠো মাল্টি ভিটামিন, ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টদের প্রধান শঙ্খ রায় চৌধুরী বলেন, গত কয়েক মাসে বাজারে ভীষণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে ভিটামিন সি, জিঙ্ক ট্যাবলেন ও মাল্টি ভিটামিনের বিক্রি। যেখানে জানুয়ারিতে প্রতি মাসে ১ থেকে ২ লক্ষ স্ট্রিপ এই সমস্ত ভিটামিন বিক্রি হত, সেটি গত ২-৩ মাসে বেড়ে ৫-৬ লক্ষতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে।
বহু ওষুধ বিক্রেতাই জানাচ্ছেন, করোনা অতিমারিতে মানুষ আতঙ্কে মুড়ি-মুড়কির মতো ভিটামিন ট্যাবলেন কিনে খাচ্ছেন। কিন্তু এতে করোনা থেকে সেরে ওঠায় তাদের বিশেষ হেরফের হচ্ছে না বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে যেসব করোনা আক্রান্ত ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছেন, তাঁদের সেরে ওঠার হার কোনও ভাবেই যাঁরা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন না তাঁদের চাইতে বেশি তাড়াতাড়ি নয়। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শরীরে ভিটামিনের কোনও আলাদা করে প্রভাব পড়ে না।
মাল্টিভিটামিন নিলে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়নি তাদের শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হলেও, করোনা থেকে সারিয়ে তুলতে এর খুব একটা প্রভাব নেই বলেই মনে করেন বিশেষজঞরা। তবে ভিটামিন খান চিকিৎসকের পরামর্শে। আচমকা গাদা গাদা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিলে কিন্তু ভিটামিন ওভারডোজে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।