বেশ কিছুদিন আগের কথা । আশে পাশের বাড়িতে ধূপকাঠি বিক্রি থেকে কাজ শুরু করেছেন তিনি । যদিও এই কাজ বেশি দিন তাকে করতে হয়নি । কারণ শিক্ষা দপ্তরে তখন ওই তরুণী পাকাপাকিভাবে চাকরি পান । কোন সমস্যা হয়নি তখন সেই ব্যাপারে । কিন্তু এসএসসি দুর্নীতির কারণে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হন ইডির দ্বারা তখন বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে প্রভাবশালীর যোগসাজশের? বাড়ির কাছে পোস্টিং পাওয়ার ব্যাপারেও কি প্রভাবশালির হাতে রয়েছে? অর্পিতার ছোটবোন সংগীতার চাকরি ঘিরে এখন এই প্রশ্নই উঠছে।
ঠিক কি কথা চলছে এই ব্যাপারে? সঙ্গীতা ধর বেলঘরিয়ার কিশোর পল্লিতে বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম কল্যাণ ধর যিনি এখন সংবাদমাধ্যমের চর্চায় রয়েছেন। বড় শ্যালিকার অর্থাৎ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি চালাতেন যিনি। এখন কিশোর পল্লির বাড়িতে তালা ঝুলছে কারণ বড় শ্যালিকা গ্রেফতার হয়েছেন। কোনও ভাবেই সঙ্গীতা ধরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আগে পদবি মুখোপাধ্যায় ছিল যা পড়ে বিয়ের পর ধর হয়েছে।
প্রভাবশালী বলতে কার কথা উঠেছে ? প্রতিবেশীরা বলছেন, হঠাৎ করেই একদিন স্কুলের শিক্ষা দফতরের চাকরি হয় তার। পূর্বে যেখানে রান্নার কাজ করতেন এখন সেখানে সরকারি চাকরি। যার স্বামী নিজেই ট্যাক্সি চালাতেন। সঙ্গীতা চাকরি পাবার পরই কল্যাণ এলাকায় বিশাল প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। স্থানীয় কেউই কোনও কথা বলতে পারতেন না তাকে। নিজের পিতৃভিটে ছেড়ে এক ভাড়া বাড়িতে চলে যায় সঙ্গীতা আর কল্যাণ। শরিকি বাড়িতে এরপর নিজেদের নতুন বাড়ি তোলেন তিনি, সেখানে গৃহপ্রবেশে অর্পিতাও এসেছিলেন। আর সেই কারণেই প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ উঠেছে।
জীবনের কেমন পরিবর্তন হয়েছিল তার? সূত্রের খবর, সঙ্গীতা গ্রুপ–ডি পদে চাকরি পান। প্রথমে পোস্টিং ছিল তাঁর বিকাশ ভবনে। তাঁকে বেলঘরিয়ার বান্ধব নগরে স্কুলশিক্ষা দফতরের কামারহাটি সার্কলের এসআই অফিসে ৬ মাস পরই ডেপুটেশনে পাঠানো হয়। শেষ অফিসে গিয়েছিলেন সঙ্গীতা গত ২৬ জুলাই। আরও কোনও খোঁজ মেলেনি তার পর থেকে। এখন ইডি এই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে।