রান্না করতে গিয়ে অনেক সময়ই হাতে তেল ছিটকে যায়। সেখান থেকে ফোসকা পড়ে। এছাড়াও গড়ম কড়াই কিংবা খুন্তির ছ্যাঁকা অহরহ লাগে রাঁধুনিদের। রান্না করতে করতে এই রকম ছোটখাটো ছ্যাঁকা খাওয়া, ফোসকা পড়ার সমস্যা তো হামেশাই হচ্ছে। কিন্তু সব সময় তো হাতের কাছে মলম থাকে না। তাই ভরসা করতে পারেন ঘরোয়া টোটকাতেই। দেখে নিন কোন কোন ঘরোয়া জিনিস কাজে লাগবে।
বরফ
ডিপ ফ্রিজে বরফের ট্রে-তে বরফ তো থাকেই। গরম চা, জল কিংবা ভাতের ফ্যান হাতে পড়ে গেলে জ্বালাভাব কাটাতে চোখ বুজে ব্যবহার করুন বরফ। তবে প্রথমেই বরফ দেবেন না। আগে ঠান্ডা জলে পোড়া জায়গাটা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর একটি কাপড়ে করে বরফ মুড়ে পোড়া জায়গায় বেঁধে রাখুন। মিনিট ১৫ ধরে সেই পোড়া জায়গায় বরফ সেঁক দিলে জ্বালা ভাব কমবে।
লিকার চা
ত্বক পুড়ে গেলে চটজলদি জ্বালা ভাব কমাতে পারে লিকার চা। ৩-৪টি লিকার চায়ের টি-ব্যাগ এক কাপ ঠান্ডা জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। সঙ্গে ছড়িয়ে দিন কিছু বরফকুচি। কিছু ক্ষণ পর সেই লিকার চা একটি তুলোর সাহায্যে ত্বকের পোড়া অংশে অল্প অল্প করে লাগাতে থাকুন।
অ্যালোভেরা
কোথাও পুড়ে গেলে অ্যালোভেরার তাজা রস বের করে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে নিন। অ্যালোভেরার আছে ব্যাথা কমানোর গুণ। পোড়া জায়গায় অ্যালোভেরা লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বকে শীতল অনুভূতি পাওয়া যাবে এবং জ্বালা ভাব কমে যাবে।
টুথপেস্ট
টুথপেস্ট এ মিন্ট থাকায় এটি পোড়া অংশের ব্যথা কমায় ও ক্ষত মসৃণ করতে সাহায্য করে। মিন্টযুক্ত সাদা টুথপেস্ট নিন। ক্ষত স্থানটি ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে এর চারপাশে পেস্ট মাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে দিনে তিনবার এটি করতে হবে।
নারিকেল তেল
১-২ চা-চামচ নারিকেল তেল সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগান।। এটি চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করতে পারে এবং নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। এটি ক্ষত স্থানের জ্বালাপোড়া কমাতে পারে। পুড়ে যাওয়া যন্ত্রণা, ফুসকুঁড়ি ও দাগ সারাতেও সাহায্য করে।