তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই রাজ্যে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বলে জানান।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত সমস্যায় ফেলেছে বহু দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ কে এবং রোজকার নিত্যযাত্রীর সাথে সাথে হকারদেরও। নিত্য তিরিশ দিন যাদের কাজের প্রয়োজনে কলকাতা আসতে হয় তাঁরা মূলতঃ উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া, হুগলি জেলাতে থাকেন। এই সিদ্ধান্তে তাঁরাও অসুবিধায় পড়েছেন। কিন্তু, এই গাইডলাইন জারি করে আরেক বিপাকে পড়েছেন রাজ্য সরকারও।
করোনা মহামারির কারণে সমস্ত সরকারি বেসরকারি অফিসে হাজিরার সংখ্যা কমিয়ে হাফ করে দিতে বলেছে রাজ্য। তবে যারা স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত তাদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
প্রতিদিন বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাস্থকর্মী কম করার সুযোগ তো দুর, বরং সাপ্তাহিক ছুটিও দেওয়া যাচ্ছে না গত একমাস ধরে। এমন অবস্থায় যাতায়াতের সবথেকে বড় গণমাধ্যম লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন জেলায় থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা। কাজে হাজিরা দিতে বিপাকে পড়ছেন তারা। নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী কাজে না আসায় সমস্যায় পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরও। এই অবস্থায় সমাধান করতে তাই হাওড়া এবং শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
স্বাস্থ্যসচিব সেই চিঠিতে তিনি অনুরোধ করেছেন, রেল কর্তপক্ষ এখন যে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা দিচ্ছেন রেল কর্মচারীদের জন্য সেখানে যেন রাজ্যের কর্মরত সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াত করার অনুমতি দেওয়া হয়। অবশ্যই রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনের তরফে বলা হয়েছে বৈধ পরিচয়পত্র থাকলে তারপরই যেন এই অনুমতি দেওয়া হয়। এ বার রেল রাজ্যের এই আবেদনে সাড়া দেয় কি না নজর থাকবে সেদিকেই।