প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে ট্যালকম পাউডার ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু পাউডার থেকে কী মারাত্মক ক্ষতিসাধন হতে পারে আমাদের শরীরে অনেকেই জানেন না। এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে এর থেকে।
• চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন এবং কিছু পরিমাণে অ্যাসবেসটস পদার্থ এই ট্যাল্কে থাকে। ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এই অ্যাসবেসটস থেকেই। আমাদের শরীরে ট্যাল্কে উপস্থিত অ্যাসবেসটস ঢুকে ইনফ্লামেশন তৈরি করে । ক্যান্সারের সম্ভাবনা যার ফলে বেড়ে যায় । এই ভয় থাকে না অ্যাসবেসটস মুক্ত কোনও ট্যাল্ক ব্যবহার করলে।
• দেহের ভেতরে ট্যালকম পাউডারের ছোট ছোট কণা প্রবেশ করলে তা থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। যদি ট্যাল্ক কোনো শিশুর শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে, তবে তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
• ওভারিয়ান ক্যান্সারের সরাসরি যোগ রয়েছে পাউডারের সঙ্গে। বেশির ভাগ নামি দামি ব্রান্ডের পাউডার বেশি মাত্রায় টক্ যুক্ত। বিভিন্ন অংশ জমতে জমতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
• যদি ট্যালকম পাউডারের সূক্ষ্ম ও ক্ষুদ্র কণা শ্বাসের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে, তবে দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এটাকে বলে ট্যালকোসিস। এ ছাড়া গবেষণা বলছে, পাউডারের যে ছোট ছোট উপাদান আমরা নাক-মুখের মধ্যে দিয়ে শরীরের ভিতরে গ্রহণ করি তা মারাত্মক ক্ষতিকর । এ গুলি কার্সিনোজেনিক । ওভারিয়ান এবং লাং ক্যান্সার হতে পারে এর থেকে।
• শুধু তাই নয়, গবেষণাায় দেখা গিয়েছে পাউডার ব্যবহার করাও একেবারেই সুরক্ষিত নয় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে । এ ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে পরবর্তীকালে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিয়েছে ।
•অনেক মেয়েই ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন জেনিটাল পার্টে। আপনি কি জানেন, এর ফলে ক্যানসার হতে পারে ডিম্বাশয়ে? যখন এটি ব্যবহার করা হয়, জরায়ুর ভেতরে এর ছোট কণাগুলো চলে যায়। এবং ডিম্বাশয়ের ভেতরে ঢুকে গিয়ে ফ্যালোপেইন টিউবে চলে যায়। ক্যান্সার হতে পারে এর ফলে।