হরিয়ানার কাইথালে নারী ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় হরিয়ানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে চার মহিলা। চারজনকেই ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
এসপি মাকসুদ আহমেদ জানিয়েছেন যে তিত্রাম থানার অন্তর্গত এক গ্রামবাসীর অভিযোগ অনুসারে, প্রায় ৬ মাস আগে সিভানের বাসিন্দা রমনের সাথে তার পরিচয় হয়। দুজনেই এরপর থেকে প্রায়শঃই মোবাইলে কথা বলতে থাকে। একদিন ওই মহিলা অভিযোগকারী যুবককে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য তার বাড়িতে ডেকেছিল, সেই সময় রমন এবং তার নিজের ইচ্ছায় তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। কিছুক্ষণ পর ওই রমন তার বাড়ির অসহায়ত্বের কথা বলে অভিযোগকারীর কাছে টাকা চাইতে শুরু করলে ওই যুবক কয়েকবার টাকা দেন। ২৪শে মে রমন তাকে ফোন করে জরুরি অজুহাতে খুরানা রোডে তার আত্মীয়ের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে পৌঁছে তিনি দেখেন সেখানে ৩ জন মহিলা ও ১টি মেয়ে রয়েছে।
রমন ওই যুবককে একটি আলাদা ঘরে বসিয়ে তার সাথে কথা বলতে শুরু করার সময় হঠাৎ পেছন থেকে এক ব্যক্তি তার গলায় দড়ি দেয়। সেখানে উপস্থিত সকল নারী ও পুরুষ অভিযোগকারী যুবক কে মারধর করে। তারা বলতে শুরু করে যে আপনি এই ছোট মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। এরপর সবাই আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলে। এর পর অভিযুক্তরা তার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করতে থাকে এবং বলে, না হলে তোমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হবে। এ সময় অভিযুক্তরা তার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইলে তার আধার কার্ডের ছবি তুলে নেয়।
দশ লাখ টাকা না দিলে ধর্ষণের মামলা করার হুমকি দেন:
গত ২৬ মে আসামিদের ফোন এলে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অভিযোগকারী তার বন্ধুকে এসব কথা বলেন। ফোনে কথা বলা ওই মহিলা অভিযোগকারীকে জওহর পার্কে ডেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বলেন, আগামীকাল দুপুর ২টার মধ্যে এক লাখ টাকার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হবে। অভিযোগকারী যুবক বলেন ‘কিন্তু আমার বন্ধুর পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্ত মহিলার কথা অন্য ফোন থেকে রেকর্ড করেছিলাম। তারপর পুলিশে অভিযোগ জানাই।’
এসপি জানিয়েছেন যে থানার মহিলা এসআই সুনিতা দেবী একটি অভিযানকারী দল তৈরি করেছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই যুবককে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে জওহর পার্কে পাঠানো হয়। ব্ল্যাকমেইলার ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী ৫০ হাজার টাকাসহ আটক হন অভিযানকারী পুলিশ দলের হাতে।